প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন হাতুড়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার ভূক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা হলো- জামপুর ইউনিয়নের হাতুরাপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ, লাল চান মিয়া এবং ফয়েজ ভূঁইয়া।
জানা যায়, সাদিপুর ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল। পথে অভিযুক্ত আব্দুলাহ কাঁঠাল খাওয়ানোর কথা বলে তার বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে আটকে ফেলে। পরে আরও দুই সহযোগীকে ফোনে ডেকে নিয়ে তিনজন মিলে ভূক্তভোগীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ভূক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আইনের আশ্রয় নিলে তার পরিবারের সকল সদস্যকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। ভূক্তভোগীর মা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় রান্নার কাজ করেন।
এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভূক্তভোগীর মাকে (বাদী) ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী সাত্তার ও আক্কাস আলীর নেতৃত্বে একটি দল। ভূক্তভোগী পরিবারকে এক লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
ভূক্তভোগী ওই ছাত্রীর দুলাভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, তার শ্যালিকাকে তিনদিন আগে স্কুল থেকে ফেরার পথে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ তার পথ আটকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। ওইসময় আব্দুল্লাহ বলেছিল যে আব্দুল্লাহর স্ত্রী তার জন্য কাঁঠাল রেখেছে। এ কথা মতো ওই ছাত্রী আব্দুল্লাহর সঙ্গে তার বাসায় যান। সেসময় তার স্ত্রী বাসায় ছিলো না। আব্দুল্লাহর স্ত্রীর কথা জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ কোন উত্তর না দিয়ে মুখ ও হাত পা বেধে তার দুই সহযোগীকে ফোন দিয়ে বাসায় নিয়ে যায়। পরে তারা তিনজন মিলে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় বাদী অভিযোগ করলেও মামলার বিষয়ে তাদের আগ্রহ নেই। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বাদী ও তার পরিবারের কাউকে তিনি পাননি। টাকার বিনিময়ে মিমাংসার বিষয়ে তিনি বলেন, তার এ সম্পর্কে জানা নেই। তবে পরিদর্শন করেছেন।
এ ঘটনা ধামাপাচা দেয়ার বিষয়ে অভিযুক্ত আক্কাস আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করেন। তিনি এ ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। তিনি নতুন যোগদান করেছেন। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআইকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Discussion about this post