নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় কার্ড স্কিম ‘টাকা পে’-এর নামে একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের (যঃঃঢ়ং://ঃধশধঢ়ধুপধৎফ.পড়স) সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ওয়েবসাইট থেকে জনসাধারণের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেইল অ্যাড্রেস, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রভৃতি সংবেদনশীল ও গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর কারণে জনসাধারণের আর্থিক ক্ষতিসহ নানাবিধ হয়রানির শিকার হতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে টাকা পে-এর নামে পরিচালিত ভুয়া ওয়েবসাইটে তথ্য প্রদানে বিরত থাকার জন্য জনসাধারণকে সতর্ক করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানায়, দেশের কার্ডভিত্তিক লেনদেনে অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ
প্রতিষ্ঠা, ব্যয়সাশ্রয়ী করা ও বিদেশি মুদ্রার ব্যয় কমানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় কার্ড স্কিম ‘টাকা পে’ পরিচালনা করছে। এর আওতায় ইতোমধ্যে ১৫টি তফসিলি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের ‘টাকা পে ডেবিট কার্ড’ প্রদান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ‘টাকা পে’ এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কোনোরূপ ওয়েবসাইট ও অ্যাপ প্রচলন করা হয়নি। ওই ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিবন্ধিত টাকা পে ও এনপিএসবি-এর অনুরূপ লোগো/ট্রেডমার্ক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ব্যবহার করা হয়েছে। ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ এর ধারা ২৫(২) মোতাবেক কোনো সেবা সম্পর্কিত ট্রেডমার্কের নিবন্ধিত স্বত্বাধিকারী ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি, নিবন্ধিত স্বত্বাধিকারীর অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত, ওই ট্রেডমার্ক ব্যবহার করতে পারবেন না।
তাছাড়া ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪’ এর ধারা ৪(২) অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংক হতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা পরিশোধ সেবা প্রদান করতে পারবে না। এছাড়া ধারা ১৫(২) মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক হতে অনুমোদন গ্রহণ ব্যতীত জনসাধারণ হতে যেকোনো প্রকার বিনিয়োগ গ্রহণ, ঋণ প্রদান, অর্থ সংরক্ষণ বা আর্থিক লেনদেন উদ্ভব হয় এরূপ কোনো অনলাইন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করতে পারবে না। এরূপ কার্যক্রম ওই আইনের ধারা ৩৭(৩) অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

Discussion about this post