নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা তিন কার্যদিবস পতনের পর ঊর্ধ্বমুখী ছিল দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। গতকাল আগের কার্যদিবসের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে। এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দরও বেড়েছে।
ডিএসইর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৫৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬৫ পয়েন্টে ওঠে এসেছে। লেনদেনেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, গতকাল লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানি এবং ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। ডিএসইতে গতকাল মোট ৩৯৮টি কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৫৩টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ৬৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে ৭৮টি ফান্ড ও কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
এদিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ২২০টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এরই মধ্যে মাত্র ১৪৯টি কোম্পানি ও ফান্ডের দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ৩৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিন শেষে অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর।
একইভাবে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টি ফান্ড ও কোম্পানির দর দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে ১১টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিন শেষে অপরিবর্তিত ছিল ১৪টি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
‘জেড’ ক্যাটাগরির ৯৫টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ১৯টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিন শেষে অপরিবর্তিত ছিল ৩০টি ফান্ড ও কোম্পানির দর। একইসঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড খাতেও বেশিরভাগ ফান্ডের ইউনিটের দরও বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে মাত্র ১৫টি ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে, বিপরীতে চারটি ফান্ডের ইউনিট দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ১৭টি ফান্ডের ইউনিট দর।
ডিএসইতে গতকাল মোট ২৯ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৮৬৮টি শেয়ার ও ইউনিট এক লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৪ বার হাতবদল হয়েছে। এরই জের ধরে দিনশেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৭৪৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, গতকাল পুঁজিবাজারের এই তেজিভাব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। আগামী দিনগুলোতে বাজারের এই ইতিবাচক ধারা বজায় থাকে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। সূচক বাড়ার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে লেনদেনেরও পরিমাণ বেড়েছে। এটি বাজারে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং ইতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়। বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, আগামী দিনগুলোতেও এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকবে।

Discussion about this post