নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের পতন অব্যাহত থাকলেও গত সপ্তাহে বেড়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। সূচকের পতনের মধ্যেও গত সপ্তাহে বেড়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহের শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ১২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। সপ্তাহ শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৯ কোটি টাকায়।
তবে সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৫ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ কমেছে। ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। ডিএসইএস সূচক শূন্য দশমিক ১৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে এই অঙ্ক ছিল ৪ হাজার ১৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৫৪৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
তবে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ৮৩৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এই সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ২২৭টির এবং ৩০টি কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
সিএসইতে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা বেশি। সিএসইতে ৩১৪টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬০টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮টি কোম্পানির শেয়ারদর।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির ধীরে ধীরে উন্নতি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করছে। বর্তমান প্রবণতা বজায় থাকলে বাজার আরও চাঙা হতে পারে। পুঁজিবাজারের এই তেজিভাব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। আগামী দিনগুলোতে বাজারের এই ইতিবাচক ধারা বজায় থাকে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, আগামী দিনগুলোতেও এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকবে।

Discussion about this post