Print Date & Time : 3 July 2025 Thursday 12:25 pm

ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ যা করণীয়

 

শেয়ারবিজ ডেস্ক: ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ, যা প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এডিস মশার কামড়েই মূলত ডেঙ্গু ছড়ায়। সময়মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে এটি জীবনঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তিগত সচেতনতা, ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা, এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

যতটা সম্ভব শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরা।

দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় মশারি টানানো, রুমে মশা বা পোকামাড়ের স্প্রে ব্যবহার করা বা কয়েল জ্বালিয়ে রাখা।

জানালা বন্ধ রাখা।

মশা ডিম পাড়ে এমন জায়গা পরিষ্কার করে রাখা, পানি জমতে না দেয়া।

ঘরে এবং আশপাশে যেকোনো জায়গায় পানি জমতে না দেয়া। এতে এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে পারবে না।

ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করা।

ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা/নারকেলের মালা, কনটেইনার, মটকা, ব্যাটারি শেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। কাজেই এগুলোর বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেয়া।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া।

পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করা। ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস ও খাওয়ার স্যালাইন পান করুন একটু পরপর।

ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া। অ্যাসিটামিনোফেন (প্যারাসিটামল) ব্যবহার করা।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গায়ে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন-জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না।

শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

আরআর/