শেয়ার বিজ ডেস্ক : থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছেন, হাসপাতাল বা চিকিৎসা ব্যবস্থায় থাকা সময়কে কারাদণ্ড হিসেবে গণ্য করা যাবে না। গত মঙ্গলবার দেয়া এ রায় দেশটির প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার ‘থাকসিন রাজবংশ’-এর জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর-আল জাজিরা।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ১৫ বছরের নির্বাসনের পর থাইল্যান্ডে ফিরে আসার পর ৭৬ বছর বয়সী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। পরে রাজা তার সাজা কমিয়ে এক বছর করেছিলেন। তবে বয়স ও স্বাস্থ্যজনিত কারণে তিনি কখনও জেলে যাননি এবং ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত পুলিশ হাসপাতালের একটি ব্যক্তিগত কক্ষে ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার রায় দিয়েছেন, হাসপাতালের সময়কে কারাদণ্ডের অংশ হিসেবে গণ্য করা হবে না। ফলে থাকসিনকে অবশ্যই এক বছরের জন্য কারাগারে থাকতে হবে। পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ বলেছেন, থাকসিন ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতালে থাকার সময় বাড়িয়েছেন এবং এর দায় শুধু ডাক্তারদের নয়। এই রায়ের পর তাকে কারাগারে নেয়া হবে বলে রয়টার্সের একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন। এই ঘটনার ১১ দিন আগে থাকসিনের মেয়ে এবং রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী পায়তংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে আদালতের নির্দেশে সরিয়ে দেয়া হয়। এরপর গত শুক্রবার তার সরকারের পতন হয় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী আনুতিন চার্নভিরাকুল সংসদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এটি থাকসিনের ফিউ থাই পার্টির জন্য একটি লজ্জাজনক পরাজয়। সিনাওয়াত্রা পরিবারের সমর্থিত বা তাদের সদস্যদের মধ্যে এটি ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী যিনি বিচার বিভাগ বা সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন।
এদিকে ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে থাকসিন বলেছেন, আদালতের রায় তিনি মেনে নিচ্ছেন। তিনি আরও জানান, শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্ত থাকতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।