Print Date & Time : 22 July 2025 Tuesday 5:10 am

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবল বর্ষণে ১১ জনের মৃত্যু

 শেয়ার বিজ ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতে গতকাল রোববার একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে চলতি সপ্তাহে টানা ভারী বর্ষণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ জনে। এ ছাড়াও আরও চারজন নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। খবর এএফপির।

গতকাল রোববার ভোরে সিউল থেকে ৭০ কিলোমিটার (৪০ মাইল) পূর্বে গিয়ংগি প্রদেশের গ্যাপিয়ং কাউন্টিতে প্রায় ১৭০ মিলিমিটার (৬ দশমিক ৭ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ দিনের ভারী বর্ষণে মোট মৃতের সংখ্যা অন্তত ১১ জন।

ইয়নহাপ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গাপিয়ংয়ে ভূমিধসে ঘরের মধ্যে থাকা ৭০ বছর বয়সী এক নারী নিহত হন।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলীয় এলাকা। এখন বৃষ্টি অনেকটাই কমেছে। কিন্তু রাজধানী সিউল এবং উত্তরাঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। প্রচণ্ড বন্যার পানিতে বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ডুবে গেছে। এছাড়াও কৃষি জমির ক্ষতি ও গবাদি পশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

অধিকাংশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে, বিশেষ করে সানচেওং কাউন্টিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সাতজন নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল রোববার সকালে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সিউলের কাছে উত্তরাঞ্চলের একটি পার্বত্য এলাকা এবং পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য জায়গায়ও প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সরকার দেশব্যাপী একাধিক অঞ্চলে ভূমিধসের গুরুতর সতর্কতা জারি করেছে এবং রোববার একাধিক সংস্থার সমন্বয়ে পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু করে। জিওংগি প্রদেশের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ৬৩ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

প্রবল বৃষ্টিতে দেখা দেয়া বন্যায় প্রদেশটির বহু এলাকায় গরুর খামার ও আস্তাবল ডুবে গেছে। গরুগুলো তাদের মাথা পানিতে ভাসিয়ে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যার পানিতে এ পর্যন্ত ৬৪১টি ভবন, ৩৮৮টি সড়ক এবং ৫৯টি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃষ্টির কারণে ঝুঁকির মুখে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হওয়া অন্তত ২ হাজার ৮০০ জন মানুষ ফিরতে পারেননি নিজেদের ঘরে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী এমন চরম আবহাওয়ার ঘটনা আরো ঘন ও তীব্র হয়ে উঠছে। ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত ও বন্যা হয়। তখন অন্তত ১১ জন প্রাণ হারান।