নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেডের দুই ইস্যু ব্যবস্থাপককে পাঁচ বছরের জন্য পুঁজিবাজারে নিষিদ্ধ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
জানা গেছে, কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ায় ইস্যু ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে বেশ কিছু সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে ইস্যু ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত দুটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানিয়া শারমীন এবং এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেডের সাবেক সিইও মাহবুব এইচ মজুমদার রিং শাইন টেক্সটাইলসের আইপিওর ইস্যু ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সের বেশ কিছু গুরুতর লঙ্ঘন করেছেন। পরবর্তী সময়ে তাদের দ্বারা এ অধ্যাদেশের বিধান লঙ্ঘনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা শেয়ারবাজারের সার্বিক উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ কারণে কমিশন তাদের শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি তানিয়া শারমীন ও মাহবুব এইচ মজুমদারকে এ আদেশ জারির তারিখ থেকে পাঁচ বছরের জন্য দেশের শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত যেকোনো দায়িত্ব বা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে কমিশনের পক্ষ থেকে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান, তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধানের আওতাধীন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সময়ের জন্য যেকোনো দাপ্তরিক দায়িত্বে তাদের নিয়োগ করা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৯ সালে খায়রুল কমিশনের আমলে দেশের শেয়ারবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করে রিং শাইন টেক্সটাইলস। কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির সময় এর বিভিন্ন ধরনের আর্থিক তথ্যের বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পরবর্তী সময়ে বিএসইসির তদন্তে উঠে আসে, কোম্পানিটির ১১ জন উদ্যোক্তা পরিচালক ও ৩৩ জন শেয়ারহোল্ডার তাদের অনুকূলে ইস্যু করা শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানিকে কোনো অর্থ পরিশোধ করেনি।
তাছাড়া কোম্পানিটির প্রকৃত আর্থিক পারফরম্যান্সের বিষয়ে ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে সঠিক ও প্রকৃত তথ্য প্রতিফলিত হয়নি।