শেয়ার বিজ ডেস্ক : চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। জুলাই-আগস্ট দুই মাসে রপ্তানি হয়েছে ৭১৩ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। আগের বছর একই সময়ে ৬৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। তবে একক মাস হিসাবে আগস্ট মাসের রপ্তানি কিছুটা কমেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের আগস্ট মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩১৬ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ডলার। আগের বছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৩৩২ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আগস্টে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫ শতাংশ।
চলতি বছরের আগস্টে রপ্তানি হ্রাসের পেছনে দুর্বল ব্যাংকগুলোর এলসি (ঋণপত্র) খোলার সমস্যা ও আগের বছরে জুলাইয়ের রপ্তানি চাপের কারণে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে করেন তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
তিনি বলেন, আগের অর্থবছরে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে জুলাই মাসে কম রপ্তানি হয়েছিল। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে আগের মাসের পেইন্ডিং রপ্তানির চাপ বাড়ে; যা আগস্ট মাসে সম্পন্ন হয়। ফলে আগস্ট মাসে বেশি রপ্তানি হয়। আবার জুলাই-আগস্ট দুই মাসে গড়ে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১০ শতাংশ। সেই হিসাবে খুব একটা তারতম্য হয়নি।
ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় থাকার কারণে ফার্স্ট সিকিউরটি ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে এলসি খোলার ক্ষেত্রে সমস্যার কারণে ওই সব ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করা ব্যাংকগুলো সংকটে পড়ে। এর ফলে তাদের রপ্তানি কিছুটা প্রলম্বিত হয়। যার প্রভাব পড়ে আগস্টে। তবে চলতি মাস থেকে আবার রপ্তানি আয় বৃদ্ধির আশা করছেন রপ্তানিকারকরা।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট তৈরি পোশাক রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তিন হাজার ৯৩৪ কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ দশমিক ৫০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানির লক্ষ্য রয়েছে চার হাজার ৮২৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
জুলাই-আগস্ট দুই মাসে দেশে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৮৬৮ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক ৮২ দশমিক ১০ শতাংশ। বাকি ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ অন্য সব পণ্য।

Discussion about this post