Print Date & Time : 20 August 2025 Wednesday 11:16 am

নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হামাস

শেয়ার বিজ ডেস্ক : গাজা যুদ্ধ অবসানে নতুন করে আলোচনার আশার আলো দেখাচ্ছে হামাসের সদ্য অনুমোদিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব। ইসরায়েলের সঙ্গে ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। খবর: রয়টার্স।

গত সোমবার মিসরের সরকারি একটি সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন এই চুক্তিতে হামাস রাজি হয়েছে গাজায় তাদের হাতে আটক অর্ধেক ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার শর্তে। পাশাপাশি ইসরায়েলের পক্ষ থেকে মুক্তি পাবে কিছুসংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিও।

এক ফেসবুক পোস্টে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাঈম বলেন, গাজা যুদ্ধ নিয়ে মধ্যস্থতাকারীরা যে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে আমরা সম্মতি জানিয়েছি।

তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।

মিসরের সরকারি সূত্র জানায়, যুদ্ধবিরতির নতুন এই প্রস্তাবে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ৬০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়টি রয়েছে। একই সঙ্গে এই বিরতি দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসানে একটি সমন্বিত রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে পেতে সহায়ক হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

আরও একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এই নতুন প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেয়া আগের একটি প্রস্তাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেই আগের প্রস্তাবেও ইসরায়েল সম্মতি দিয়েছিল।

এদিকে গাজা নগরীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে দেশটির ভেতরে ও বাইরে উঠেছে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়। যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে রোববার ইসরায়েলে হাজারো মানুষ রাস্তায় নামেন। বিশ্লেষকদের মতে, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এটি ছিল সবচেয়ে বড় গণবিক্ষোভ।

বিক্ষোভকারীরা শুধু যুদ্ধ থামানোর আহ্বানই জানাননি, বরং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় আটক থাকা অবশিষ্ট ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করার দাবি তুলেছেন।

ইসরায়েলের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ওই জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২৯ জন এখনো জীবিত রয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলের সম্ভাব্য নতুন স্থল অভিযানের আতঙ্কে গাজার পূর্বাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের দিকে। কিন্তু নিরাপত্তা সেখানেও নেই। ওই এলাকাগুলোয়ও চলছে লাগাতার গোলাবর্ষণ। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে মিসর ও কাতার নতুন করে মধ্যস্থতার চাপ বাড়িয়েছে।