নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বাজারে আসছে ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট। এই নোট প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে। এর আগে একই সিরিজের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট প্রচলনে এসেছে। বাকি মূল্যমানের নোটও পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার জানানো হয়, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরিত নতুন ১০০ টাকার নোটের আকার হবে ১৪০ মিমি ী ৬২ মিমি। নোটের সামনের অংশে বামপাশে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদের ছবি এবং মাঝখানে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি থাকবে। পেছনে থাকবে সুন্দরবনের দৃশ্য। জলছাপ হিসেবে দেখা যাবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, নিচে ‘১০০’ সংখ্যা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম। নোটের মূল রং নীল।
নতুন নোটে মোট ১০ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেÑডান কোনায় রং পরিবর্তনশীল ‘১০০’ সংখ্যা, যা নাড়ালে সোনালি থেকে সবুজে রূপ নেবে; বাম পাশে লাল ও রূপালি বারের সমন্বয়ে পেঁচানো নিরাপত্তা সুতা, যা নাড়ালে লাল থেকে সবুজে পরিবর্তিত হবে এবং তাতে খচিত থাকবে ‘১০০ টাকা’; দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য নিচের ডান পাশে তিনটি উঁচু বিন্দু।
এছাড়া ইন্টাগ্লিও কালি ব্যবহারে মুদ্রিত অংশ হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভূত হবে। ওজ ধনংড়ৎনবহঃ রহশ দিয়ে করা নকশা ওজ ডিটেক্টর মেশিনে দৃশ্যমান হবে। নোটে উলম্বভাবে মাইক্রোপ্রিন্টে ‘ইঅঘখেঅউঊঝঐ ইঅঘক’ ও ‘১০০ ঞধশধ’ বারবার ছাপা রয়েছে, যা কেবল ম্যাগনিফাইং গ্লাসে দেখা যাবে।
গভর্নরের স্বাক্ষরের ডানপাশে সি-থ্রু ইমেজে ‘১০০’ লেখা থাকবে, যা আলোর বিপরীতে ধরলে স্পষ্ট হবে। নীল ডিজাইনের মধ্যে গুপ্তভাবে ‘১০০’ সংখ্যা বসানো আছে, যা নোট আনুভূমিকভাবে ধরলে দেখা যাবে। কাগজে ছড়ানো থাকবে লাল, নীল ও সবুজ রঙের ক্ষুদ্র ফাইবার, যা টঠ ডিটেক্টরে দেখা যাবে। নোটের দুই পাশে ইউভি কিউরিং ভার্নিশ থাকায় এটি চকচকে দেখাবে ও স্থায়িত্ব বাড়বে।

Discussion about this post