নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আন্তর্জাতিক তহবিল ও দেশীয় বিনিয়োগ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সিপিডি আয়োজিত আলোচনায় গতকাল রোববার এসব কথা উঠে আসে।
২০৩০ সালের মধ্যে মোট জ্বালানির ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। বিপরীতে বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
সিপিডির অনুষ্ঠানে বলা হয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য থাকলেও বাস্তবায়ন হতাশাজনক। ২০৪০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যপূরণ করতে হলে উৎপাদন সক্ষমতা উন্নীত করতে হবে পৌনে ৩৬ হাজার মেগাওয়াটে, যেখানে প্রয়োজন হবে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের।
এ সময় এই খাতে বিনিয়োগে নানা জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতার চিত্র তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা। উঠে আসে কর-সংক্রান্ত নানা জটিলতার কথাও।
কার্বন নিঃসরণ কমাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে বিদেশি প্রতিশ্রুত অর্থছাড়ের জটিলতার কথা তুলে জ্বালানি খাতের কর্মকর্তা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সরকারের নেয়া জ্বালানি প্রকল্পগুলোয় অসামঞ্জস্যের কারণে বাড়ছে দূষণ।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি করতে আইনি বাধ্যবাধকতা, আন্তর্জাতিক অর্থায়ন এবং আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বাণিজ্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানায় সিপিডি।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি নীতিগত অস্পষ্টতা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বজায় রাখে, তবে আর্থিক সংকট ও জলবায়ু লক্ষ্যে ব্যর্থতার ঝুঁকি বাড়বে। অন্যদিকে ঐক্যবদ্ধ ও স্মার্ট কৌশল গ্রহণ করলে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সফল রূপান্তর করতে পারবে। এখনই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ার সময়।’
সংলাপে প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ সলিমুল্লাহ, ফাহমিদা খানম, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের চেয়ারম্যান রেজওয়ান খান, বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইমরান করিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলীসহ প্রমুখ।