নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি নভেম্বরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ ১৫ দিনে প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৫২ কোটি মার্কিন (১ দশমিক ৫২ বিলিয়ন) ডলারেরও বেশি, যা প্রতি ডলার ১২২ টাকা দরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৮ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১০ কোটি ১৫ লাখ ডলার বা ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা করে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে নভেম্বরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে ১৫২ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যানস এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৩৫ কোটি ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে (কৃষি ব্যাংক) এসেছে ১৬ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০০ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ২৯ লাখ ডলার।
এদিকে চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের শুরু থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ১২৫ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-১০ নভেম্বর ২০২৪) রেমিট্যানস এসেছিল ৯৭৫ কোটি ডলার। ফলে অর্থবছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয় ছিল- জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার এবং অক্টোবরে ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে রেমিট্যানস প্রবাহ সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল, যা ছিল ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার- যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যানস আসে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যানস ছিল- জুলাইয়ে ১৯১ দশমিক ৩৭ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ দশমিক ১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ দশমিক ৪১ কোটি ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ দশমিক ৫০ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।
