Print Date & Time : 20 November 2025 Thursday 1:26 am

নাসিরনগরে আমন ধান কাটার উৎসব, মাঠজুড়ে সোনালি সুখের দোলা

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় শুরু হয়েছে আমন ধান কাটার মৌসুম। চারদিকে সোনালি ধানের দোল খাওয়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে নারী-পুরুষ সবার সরব উপস্থিতি—মাঠজুড়ে এখন সোনা তোলার ব্যস্ততা।

নাসিরপুর গ্রামের কৃষক রবিউল হোসেন জানান, তিনি ৬ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন—৪ বিঘায় ব্রি–৩৪ এবং ২ বিঘায় ব্রি–৫১। তিনি আশা করছেন, চিকন জাতের ধানে বিঘাপ্রতি ২০–২২ মণ এবং মোটা ধানে ৩০–৩২ মণ ফলন পাবেন। সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হলেও ফলন ভালো হওয়ায় বাজার দর ঠিক থাকলে লাভ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, তিনি আড়াই বিঘা জমিতে ব্রি–৫১ চাষ করেছেন। বিঘাপ্রতি ২৮–৩০ মণ ফলনের আশা করছেন তিনি। কিছুটা বেশি খরচ হলেও ফলন ভালো হওয়ায় সন্তুষ্ট।

কৃষকদের মতে, এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলন মিলেছে। বিঘাপ্রতি ২৫–৩২ মণ ধান উঠছে, যা তাদের মাঝে আনন্দের ঝিলিক ছড়িয়েছে।

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষিশ্রমিকরাও পাচ্ছেন ভালো মজুরি। পুরুষ শ্রমিকরা দিনে ৬০০–৭০০ টাকা এবং নারী শ্রমিকরা ৪০০–৫০০ টাকা পাচ্ছেন, যা তাদের মুখেও স্বস্তি এনে দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান শাকিল জানান, এ বছর আগাম ও মধ্যমেয়াদি আমন ধানের ফলন সন্তোষজনক। সময়মতো সার–কীটনাশক সরবরাহ, নিয়মিত মাঠ তদারকি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় উৎপাদন ভালো হয়েছে। বিশেষ করে ব্রি–৩৪ সুগন্ধি জাতের ধানে রোগ–পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় ফলন আরও আশাব্যঞ্জক।