ইমতিয়াজ আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ : শুক্রবার সকালকার ভূমিকম্পের হালকা ঝাঁকুনি আবারও নড়েচড়ে বসিয়েছে নারায়ণগঞ্জের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন–ইস্যুকে। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত এই ভবনগুলো বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ধসে পড়তে পারে—এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০২৩ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) শহরের ভেতরে ৪২টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে মাত্র ১২টি ভবন অপসারণ করে নতুন নির্মাণ করা হয়েছে। বাকি ৩০টি আজও রয়েছে মানুষ ও পথচারীদের মাথার ওপর ঝুলে থাকা বিপদসঙ্কেত হয়ে।
তালিকায় শহরের বিভিন্ন সড়ক ও এলাকায় ছড়িয়ে থাকা এসব ভবনের বেশির ভাগই শতবর্ষী বা নকশাবহির্ভূতভাবে নির্মিত। টানবাজারের মথুয়া রায় রোডে দস্তগীর আহম্মেদের দুইতলা ভবন, মহিম গাঙ্গুলি রোডের ১২০ বছরের পুরোনো সাধনা ঔষধালয়ের ভবন, এসএম মালেহ রোডের শতবর্ষী বাদল ভবন কিংবা নিতাইগঞ্জ–বিকে দাস রোডের একাধিক পুরোনো স্থাপনা—সবই রয়েছে ঝুঁকির তালিকায়। গলাচিপার বাংলাদেশ স্কাউটস ভবন, তামাকপট্টি, দেওভোগ, সনাতন পাল লেন—সব জায়গায়ই রয়েছে এমন বহু জরাজীর্ণ ভবন। সিটি করপোরেশন স্বীকার করেছে, এসবের কিছুতে সংস্কার চলছে, তবে বেশির ভাগই মালিকদের অসহযোগিতা, মামলা–ঝামেলা বা প্রশাসনিক জটিলতায় অপসারণ করা যাচ্ছে না।
এর বাইরে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর এলাকায়ও বিপজ্জনক ভবনের অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানা গেলেও সেগুলোর কোনো তালিকা এখনো তৈরি হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, “কোনো ভবন নকশার বাইরে নির্মাণ হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকবেই। নকশা অনুমোদন ও তদারকির দায়িত্ব রাজউক ও সিটি করপোরেশনের। নিয়ম না মানলে ভবন ভেঙে দেওয়া—এটা প্রশাসনেরই কাজ।” তাঁর মতে, বিবাদমান কর্তৃত্ব, দুর্বল তদারকি ও মালিকদের প্রভাব—সব মিলিয়েই ঝুঁকির
প্রিন্ট করুন






Discussion about this post