নিজস্ব প্রতিবেদক : বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) বিমা কোম্পানি নিবন্ধন নবায়ন ফি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। এতে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। ইডরা বলছে, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার জন্য সংস্থাটি আয়ের উৎস তৈরি করছে। অন্যদিকে নিবন্ধন নবায়ন ফি না বাড়িয়ে বিমা গ্রাহক পরিসর বাড়িয়ে ইডরার আয় বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদের। নবায়ন নিবন্ধন ফি কমানো নিয়ে বিভিন্ন পরিসরে আলোচনা চলছে। এক টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা করার প্রস্তাবে নাখোশ বিমা কোম্পানিগুলো।
আইডিআরএ’র তথ্য, দেশে ৩৬টি জীবন বিমা কোম্পানির মধ্যে গেল মার্চ প্রান্তিকে গ্রাহকের বিমা দাবির শতভাগ টাকা পরিশোধ করেছে মাত্র চার প্রতিষ্ঠান। ১১টি কোম্পানি দিয়েছে ৯১ থেকে ৯৯ শতাংশ অর্থ। আর দাবি টাকার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শোধ করেছে ছয়টি। বাকি ১৫টির মধ্যে সাতটি পরিশোধ করেছে ১০ শতাংশেরও কম।
এমন অবস্থার মধ্যেই বিমা কোম্পানির নিবন্ধন নবায়ন ফি বাড়িয়ে হাজারে ৫ টাকা করতে চায় এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তিও রয়েছে সংস্থাটির। জনবল ও দক্ষতার ঘাটতি দূর করে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করা, নজরদারি বাড়ানো, অ্যাকচুরিয়াল ও ইন্স্যুরেন্স ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিউট স্থাপন ও পরিচালনে দরকারি ব্যয় বহন করতে চায় নিজেরাই।
আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান ড. এস আসলাম আলম বলেন, কোনো রকমে বেতন-ভাতা দিয়ে অফিস রান করতে পারছে আইডিআরএ। আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার জন্যই নিবন্ধন নবায়ন ফি বাড়ানোর প্রস্তবা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে আছে ১০০ টাকায় ১০ পয়সা। এটাকে ১০০ টাকায় ৫০ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছি। ১০০ টাকায় আমাকে ৫০ পয়সা দেয়া হলে সব ব্যয় নির্বাহ করতে পারব।
বিমা খাতের দুর্বলতা কাটাতে নিবন্ধন নবায়ন ফি কিছুটা বাড়ানোর যৌক্তিকতা দেখছে এ খাতের কোম্পানিগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনও (বিআইএ)। তবে তা অবশ্যই ৫ টাকা নয়।
বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ বলেন, আমাদের যে টাকাটা চার্জ করছে, সেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বোঝা। এটা আমাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব হবে না। আবার আমরা আইডিআরএকে যদি বাঁচিয়ে না রাখি, তারা দুর্বল হয়ে গেলে বা কেউ অনৈতিক কর্মকাণ্ড করলে, তা সমস্যা হতে পারে। কীভাবে কী করা যেতে পারে, সেটা খুব শিগগিরই বসে আলোচনা করব। তবে নিবন্ধন ফি যেন গ্রাহকের ঘাড়ে বাড়তি বোঝা না চাপায় তা বিবেচনায় রাখার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।