পটুয়াখালী নিজস্ব সংবাদদাতা, ২৬ আগষ্ট ॥ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুই কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাশ ফান্ড অ্যান্ড পেনশন সেকশনের
উপপরিচালক রাজিব মিয়া ও হিসাব বিভাগে কর্মরত ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট
আবু সালেহ মো. ঈসা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নিরীক্ষা কার্যক্রমে আর্থিক অসঙ্গতি ও অনিয়ম ধরা পড়ায় তহবিল তসরুফের দায়ে এই দুই কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত থাকা অবস্থায়
তারা নিয়ম অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাহয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পেনশন সেলের উপপরিচালক রাজিব মিয়া ও ল্যাব অ্যাটেনডেন্ড আবু সালেহ ঈসার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লোনের কিস্তি বাবদ ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও আত্মসাৎ চেষ্টার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১১ সাল থেকে পবিপ্রবি’র শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী জিপিএফ’র ১০% কর্তণের তহবিল থেকে রূপালী ব্যাংক পবিপ্রবি শাখার ৮৩০৫ চলতি হিসাব থেকে মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় লোন চালু করা হয়। এই কর্মসূচীর অধীনে প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নেয়া লোনের কিস্তি পরিশোধের ভূয়া রশিদে ২ কোটি ৬০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন অভিযুক্তরা। এর মধ্যে উপ-রেজিস্টার প্লানিং মোঃ খাইরুল বাসার মিয়া (নাসির) ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, পরিবহন শাখার সেকশন অফিসার সবুর খান ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, পরিবহন শাখার হেলপার আবু জাফর সালে ৬ ছয় লক্ষ টাকা, ফটো মেশিন অপারেটরশামীম খান ৩ লক্ষ টাকা, ফরিদা বেগম ঝাড়–দার অডিটসেল ২ লাখ টাকা,
অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার আলম ৭৬,৭২৪ টাকা, মাসুদ অফিস সহায়ক বাজেট শাখা ৩ লক্ষ টাকা এভাবে শতাধিক কর্মকতা কর্মচারির লোনের কিস্তি পরিশোধের ভূয়া রশিদে ২ কোটি ৬০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আভ্যন্তরীণ অডিট সেলের কাছে লোন ফান্ডের হিসাবের গরমিলের তথ্য ফাঁস হলে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদ্বয় নিজেদের ভুল স্বীকার করে ৩২ লাখ টাকা জমাও দিয়েছেন।