শেয়ার বিজ ডেস্ক : পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। জুনের শেষ দিকে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর এএফপির।
গত বুধবার সকাল থেকে পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় বিরতিহীনভাবে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডি শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নদীর পানির স্তর বেড়ে যাওয়ায় তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তানজুড়ে ৫৪ জনের মৃত্যু এবং আরও ২২৭ জন আহত হয়েছেন। বেশির ভাগ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে।
তিনি জানিয়েছেন, গত ২৬ জুন বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭০ শিশুসহ প্রায় ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আরও প্রায় ৫০০ জন আহত হয়েছেন।
জনগণকে ঘরে থাকার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে রাওয়ালপিন্ডি সরকার। জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করেছে যে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বর্ষা মৌসুমের ভারী বৃষ্টিতে গত ২৬ জুন থেকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে মোট ১১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানায় দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)। এনডিএমএ’র তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ জুন থেকে গতকাল ১৪ জুলাইয়ের মাঝে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয় পাঞ্জাবে। এ পর্যন্ত ওই প্রদেশটিতে মারা গেছেন ৪০ জন।
একই সময়ে খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু, বালুচিস্তান প্রদেশে মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৭, ১৭ ও ১৬ জন। এই বৃষ্টিতে পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরেও একজনের মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত মৃতদের মাঝে ৫৩ জন শিশু এবং ১৯ জন নারীও ছিলেন।
এদিকে দেশটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টির কারণে চিত্রাল, দির, সোয়াত, শাংলা, মানসেহরা, ম্যুরি গালিয়াত, কোহিস্তান, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডিসহ দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে নদী ও জলাধারগুলোতে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। এর আগে ২০২২ সালে দেশটিতে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ১ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যু হয়।

Discussion about this post