নিজস্ব প্রতিবেদক : স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পাটপণ্য রপ্তানিতে দেশটির আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা রপ্তানিতে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ-সংক্রান্ত সভা শেষে গতকাল মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। যতটুকু সংবেদনশীলতার সঙ্গে অ্যাড্রেস করা দরকার, আমরা সেটা করছি। গত সোমবার বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানিতে বিধিনিষেধ দিয়ে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ বিধিনিষেধের আওতায় ভারতের ব্যবসায়ীরা এখন বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটপণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করতে পারবেন না। শুধু দেশটির মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য আমদানির সুযোগ রয়েছে।
ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশের যে চারটি পণ্যের ওপর ভারত আমদানি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সেগুলো হলো পাট ও পাটজাতীয় পণ্যের কাপড়, পাটের দড়ি বা রশি, পাটজাতীয় পণ্য দিয়ে তৈরি দড়ি বা রশি এবং পাটের বস্তা বা ব্যাগ। এ সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বাড়াতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে বলেও জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে এবার পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। শুধু ভারত থেকে নয়, ব্যবসায়ীরা যেখান থেকে আমদানি করতে চাইবে সেখান থেকেই অনুমতি দেয়া হবে।
তিনি বলেন, কারণ আমাদের মূল উদ্দেশ্য পেঁয়াজের দাম কমানো, সরবরাহ বৃদ্ধি করা। এজন্য যেখান থেকে দাম কম পাওয়া যাবে সেখান থেকেই পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
সম্প্রতি ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের দাম হুহু করে বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিল। তবে আমদানি দিনক্ষণ ও পরিমাণ এখনও জানানো হয়নি।

Discussion about this post