Print Date & Time : 20 July 2025 Sunday 5:40 pm

পার্বত্য চুক্তির সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটি : পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে যেসব সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপষ্টো মো. তৌহি হোসেন। রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজের মিনি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির সভা শেষে গতকাল শনিবার তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপষ্টো মো. তৌহি হোসেন বলেন, ‘এটা আমার জন্যও প্রথম সভা, এখানে অনেক কিছু শেখার এবং জানার রয়েছে।’ তিনি বলেন, রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির একটি ফলপ্রসু সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশা করছি সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারবো।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এই সভা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে যে যদি সব পক্ষ সম্মিলিতভাবে চুক্তির বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন সম্ভব।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, কমিটি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সুপারিশ প্রদান করবে এবং প্রয়োজনে সাব-কমিটি গঠন করে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে।

কমিটির সদস্যরা জানান, বর্তমান ইন্টেরিম সরকার চুক্তির বাস্তবায়নের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং ইতোমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পার্বত্য চুক্তির সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে

পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠনের মাধ্যমে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজকের সভায় চুক্তির আওতায় ভূমি সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ চুক্তির মূল দিকগুলো বাস্তবায়ন ও ভূমি সমস্যার সমাধানকে অগ্রাধিকার দিয়ে আগামীদিনের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন। সভা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, কমিটি অবিলম্বে কার্যক্রম শুরু এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার মাধ্যমে চুক্তির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

৮ সদস্য বিশিষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব কনকন চাকমা, উপ-সচিব মঙ্গল চন্দ্র পাল, উপ-সচিব শামসুল হক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষ সদস্য গৌতম চাকমা।