শেয়ার বিজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পোশাক সংক্রান্ত নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখে গভর্নরের নির্দেশে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক ক্ষুদেবার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানান, এ বিষয়ে কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি এবং কোনও অফিসিয়াল সার্কুলারও জারি করা হয়নি।
এর আগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাক সংক্রান্ত নির্দেশনাকে পরামর্শমূলক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫১ মিনিটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিবৃতিটি সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এই সার্কুলারের মাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত কারুকার্যপূর্ণ পোশাক নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তবে অফিসে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে কারও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব করা হবে না।
এর আগে নারী কর্মীদের ছোট হাতা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক, লেগিংস পরা থেকে বিরত থাকতে বলেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনায় নারী কর্মীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না এবং পেশাদার ও শালীন পোশাক পরিধানের পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পুরুষদের ক্ষেত্রে ফরমাল শার্ট ও প্যান্ট পরার কথা বলা হয়, নিষেধ করা হয় জিনস ও গ্যাবার্ডিনের মতো পোশাক।
২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়। তাতে পুরুষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ফরমাল (আনুষ্ঠানিক) শার্ট (লম্বা হাতা বা হাফ হাতা) ও ফরমাল প্যান্ট পরতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গে ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা পরতে হবে। এই নির্দেশিকায় জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরিহার করার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না অথবা অন্যান্য পেশাদার শালীন পোশাক পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ওই পোশাক বিধিতে। এসব পোশাক অবশ্যই সাদামাটা ও পেশাদার রঙের হতে হবে। এর সঙ্গে ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা, সাদামাটা হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস (ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক) এবং লেগিংস পরিহার করার কথা বলা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী বিবৃতিতে জানিয়েছে, কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন বয়সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পোশাকের বৈচিত্র্য দেখা যায়। এসব পার্থক্য থেকে সৃষ্ট মানসিক দূরত্ব কমিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সহানুভূতির পরিবেশ গড়ে তুলতেই এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বিবৃতিতে আরও বলেন, এই সার্কুলারটি পরামর্শমূলক। নারী সহকর্মীদের বোরকা কিংবা হিজাব পরার ক্ষেত্রে কোনও বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, সার্কুলারটির মাধ্যমে কর্মস্থলে পোশাক পরিধানের স্বাধীনতা বজায় থাকবে এবং একটি শালীন ও পেশাদার পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আরআর/

Discussion about this post