রোদেলা রহমান : দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ভবন এবং ক্যাম্পাস গড়ে তোলার প্রতিযোগিতা চোখে পড়েছে। মার্বেল পাথরের ফ্লোর, কাচের দেয়াল, এসকেলেটর, অতিশয় সাজসজ্জা আর আড়ম্বরপূর্ণ ক্যাম্পাস জীবনের ব্যয় ভাঁজ ফেলছে অভিভাবকদের কপালে।
তারা বলছেন, এত বেশি জাঁকজমক করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গড়ে তোলা হচ্ছে যে, প্রথমসারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানকে ভর্তি করার কথা ভাবতে পারছে না নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। আবার এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকচিক্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিক্ষার মান বাড়ছে বলেও মনে করেন না তারা।
রাজধানী, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশাল ক্যাম্পাস ও আধুনিক সুযোগসুবিধা-সংবলিত ভবন নির্মাণ করছে। সুইমিং পুল, জিমনেসিয়াম, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষ, সবই যেন এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে এসব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে গিয়ে যে বিপুল বিনিয়োগ হচ্ছে, তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, প্রতি সেমিস্টারেই বাড়ছে ফি, যার পেছনে অবকাঠামো উন্নয়নকে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
শুধু গত দুই বছরে বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। নতুন ভবনের উদ্বোধনের পরই ফি বৃদ্ধির এই ধারা যেন এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অথচ শিক্ষার মান বা একাডেমিক সেবার মানে খুব একটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
সে তুলনায় মূল উদ্দেশ্য পূরণ কতটা হচ্ছে, অর্থাৎ শিক্ষার মান ও পাঠদানের গুণগত পরিবর্তন আনতে সেই পরিমাণ প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত আছে। এর মধ্যে ১০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি সেমিস্টারে ৫০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মতো টিউশন ফি নিচ্ছে। বছরে গড়ে খরচ ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা। এর আগে ছিল প্রতি সেমিস্টারে ৩০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে এবং বছরে ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকার ভেতরে এই ব্যয় হতো। চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রির জন্য যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যয় হয় ২০-৩০ হাজার টাকার মধ্যে, সেখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচ করতে হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ গুণ বেশি।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লাগামহীন টিউশন ফি বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি শেয়ার বিজকে বলেন, ‘এই ফি বৃদ্ধি এখন একপ্রকার ব্যবসায় পরিণত হয়েছ, যা শিক্ষার্থীদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের একটি ঘটনা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এসে জানিয়েছে, তারা স্থায়ী ক্যাম্পাস চায় না। কারণ প্রাইভেট পড়িয়ে তারা যে অর্থ উপার্জন করে, তা দিয়ে তাদের থাকা-খাওয়া এবং পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কষ্টকর। স্থায়ী ক্যাম্পাসে গেলে টিউশন ফি আরও বাড়বে, যা তাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।’
অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, খুব দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করা হবে এবং ইউজিসি আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, যেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের পর আর টিউশন ফি বাড়ানো যাবে না। এই উদ্যোগ যদি সফল হয়, তবে তা শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে আর্থিক চাপ কমাতে এবং উচ্চশিক্ষাকে আরও সহজলভ্য করতে সহায়ক হবে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে হবে। এই নীতির সুযোগে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যার ব্যয়ভার শিক্ষার্থীর কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, শিক্ষার মৌলিক উপাদান গবেষণা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও পাঠ্যক্রম হালনাগাদ করা। এসব উন্নয়ন না করে শুধু ভবন নির্মাণের মানে শিক্ষাকে বাহ্যিক রূপ দেয়া। ভবনের আধুনিকতা, ক্যাম্পাসের রুপালি সাজ আর আয়োজিত কনসার্ট বা ফেস্ট-এসবই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহ্যিক রূপ। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল পরিচয় তার পাঠদান, গবেষণা, জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষার্থীকে সমাজে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।’
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক মনে করেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ক্যাম্পাস-বিলাস পরিহার করে শিক্ষার গুণগত মান, গবেষণা সক্ষমতা এবং সাশ্রয়ী ফি বাস্তবায়নের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
ঢাকার বড় বড় কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে এমন বিলাসী পাঠদান প্রক্রিয়া দেখা যায়। রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় সাত একর জায়গায় নির্মিত হয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস। শুধু স্থাপত্য নয়, লোকেশনও দামি।
মাদানী অ্যাভিনিউর ১০০ ফুট সড়কের পাশে ইউনাইটেড সিটিতে অবস্থিত ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) প্রধান ক্যাম্পাসটি প্রায় ২৫ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এতে ফুটবল মাঠও রয়েছে। ১২ তলাবিশিষ্ট ভবনে এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
রামপুরার আফতাবনগরের প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় ৭ দশমিক ৪ বিঘা জমির ওপর ক্যাম্পাসটি নির্মিত। ৯ তলাবিশিষ্ট প্রায় পাঁচ লাখ বর্গফুট ভবনে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ইউআইইউ’র এক শিক্ষার্থীর শেয়ার বিজকে বলেন, ভালো অবকাঠামো দরকার, কিন্তু এর জন্য যদি আমাদের ফি বাড়তে থাকে, তাহলে উচ্চশিক্ষা নেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।’
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু সেই স্কলারশিপ ধরে রাখা কষ্টকর। যেমন ইউজিসির নীতি অনুযায়ী ৮০ শতাংশ পেলে সিজিপিএ-৪ হবে। কিন্তু আমাদের ইউনিভার্সিটিতে সিজিপিএ-৪ পেতে হলে প্রতি সাবজেক্টে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯২ নম্বর পেতে হবে।’
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ইউআইইউতে ভর্তি হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিতে হয় না জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের, পাশাপাশি ক্যাম্পাস সুন্দর তাই এই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু ২০২২-২৩ সালে ইউআইইউ’র টিউশন ফি ছিল ৫ হাজার ৫০০ টাকা/ক্রেডিট। কিন্তু ইউআইইউর শিক্ষার্থীরা আমেরিকা থেকে রোবটিক্স প্রতিযোগিতা এবং ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা জিতে আসার পরেই টিউশন ফি বেড়ে হয় ৬ হাজার ৫০০ টাকা/ক্রেডিট। কোর্স কনটেন্ট বা ফ্যাকাল্টির মানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।’
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ক্লাসরুমে ঠিক মতো প্রজেক্টর কাজ করে না, অথচ ভবনের দেয়ালে মার্বেল বসানো হয় কোটি টাকা দিয়ে। এটার প্রয়োজন কী?’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাস অত্যন্ত সুন্দর, একদম আন্তর্জাতিক মানের। কিন্তু এখানে টিকে থাকতে আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের প্রতি সেমিস্টারে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী বলেন, ‘নতুন বিল্ডিং বানানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের কোর্সে এখনও ২০১৮ সালের সিলেবাস চলছে। আমরা ক্লাসে হাতে-কলমে ল্যাব ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি না।’
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী বলেন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি দানবের মতো, যার ক্ষুধা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এই ক্ষুধা যেন কখনও শেষ হবে না। নতুন বিল্ডিং হলে ক্ষুধা বাড়ে, নতুন পরিবহন যোগ হলে ক্ষুধা বেড়ে যায়। যে কোনো কিছু হলেই এদের ক্ষুধা বেড়ে যায়। আর এই ক্ষুধা মেটায় নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতি বছরেই টিউশন ফি কোর্স ফি বাড়ানোর মাধ্যমে। কিছু কিছু ইউনিভার্সিটির টিউশন ফি’র দিকে তাকালে দেখা যাবে, শেষ দুই বছরে ১০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকার বাইরে থেকেও হাজারো শিক্ষার্থী রাজধানীতে এসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। পরিবারের পক্ষে এই খরচ জোগানো দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর বাবা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ছেলের সেমিস্টার ফি ৫০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৭৫ হাজার টাকা হয়েছে। এ ছাড়া বাড়িভাড়া, খাওয়া-দাওয়া, বই-খাতা সব মিলিয়ে আমি প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি খরচ করছি। ছেলের যেন অন্তত গ্র্যাজুয়েট হয়, সেই আশায় জমি বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি আকাশছোঁয়া। বিল্ডিংয়ের চাকচিক্য দেখে ভর্তি করিয়েছিলাম, এখন দেখছি সেই চাকচিক্যের দাম আমাদেরই দিতে হচ্ছে।’
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর মা পারভীন নাহার বলেন, ছেলেকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছি, গর্বের বিষয়। কিন্তু এই গর্ব ধরে রাখতে গিয়ে আমাকে ব্যাংক থেকে ঋণ করতে হয়েছে। নতুন ক্যাম্পাস হওয়ার পর ভর্তি করেছি বলে টিউশন ফিও বাড়তি গুনতে হচ্ছে। এমনকি ছেলের আর্কিটেকচার প্রজেক্ট বানাতেও অনেক খরচ করতে হচ্ছে।
এই ধরনের অভিজ্ঞতা অসংখ্য পরিবারের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারগুলো সঞ্চয় ভেঙে অথবা ধারদেনা করে এই ব্যয় বহন করছে।
তাছাড়া টিউশন ফি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন বিভিন্ন খাতে ‘হিডেন চার্জ’ নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো উন্নয়ন ফি, সার্ভিস চার্জ, ল্যাব ফি, আইটি ফি প্রভৃতি। এসব খাতে প্রতি সেমিস্টারে একজন শিক্ষার্থীর গড় ব্যয় বেড়েছে ১০-১৫ হাজার টাকা।
ইউআইইউ’র রেজিস্ট্রার ড. জুলফিকার রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাম্পাস নির্মাণ করেছি। আমাদের নতুন ভবন পরিবেশবান্ধব, জ্বালানিসাশ্রয়ী এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। এসব বিনিয়োগ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষাজীবনের জন্য ইতিবাচক। ফি সমন্বয় করতে হয়েছে, তবে তা ধাপে ধাপে ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়।’
দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই এখনও বিশ্বমানের গবেষণা বা উদ্ভাবনী কার্যক্রম নেই। শিক্ষক প্রশিক্ষণ, সেমিনার, পিয়ার রিভিউ জার্নালে প্রকাশ, কিংবা আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণের সুযোগও সীমিত।
অতিরিক্ত টিউশন ফি’র কারণে অনেক শিক্ষার্থী মাঝপথে পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি শিক্ষাঋণ নিয়ে শুরু করেও অনেকেই ঋণের চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সাবরিনা হক বলেন, ‘আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলাম। কিন্তু পঞ্চম সেমিস্টারে গিয়ে খরচ সামলাতে না পেরে ছাড়তে হই। বাবার সামর্থ্য ছিল না। এখনও শিক্ষাঋণের কিস্তি দিতে হয়।’

Discussion about this post