শেয়ার বিজ ডেস্ক : ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি চুল্লি ভবনে তেজস্ক্রিয় ধ্বংসাবশেষ অপসারণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জাপানি প্রযুক্তিবিদরা রিমোট-নিয়ন্ত্রিত রোবট মোতায়েন করেছেন। খবর-এএফপি।
২০১১ সালের সুনামির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গলিত জ্বালানি এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করা, এই বিচ্ছিন্নকরণ প্রকল্পের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই কাজটি কয়েক দশক ধরে চলমান এবং এর জটিলতা ও বিপদ অনেক বেশি।
২০১১ সালের ৯ দশমিক শূন্য মাত্রার ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট সুনামির কারণে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তাতে প্রায় ৮৮০ টন বিপজ্জনক পদার্থ এখনও কেন্দ্রের ভেতরে রয়ে গেছে। এই দুর্ঘটনাটি জাপানের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্ল্যান্ট অপারেটর টেপকোর একজন মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন যে, কোম্পানিটি মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত চুল্লি ভবনগুলোর একটিতে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরিমাপ করার জন্য ‘স্পট’ এবং ‘প্যাকবট’ নামে দুটি রোবট মোতায়েন করা হয়েছে।
দুটিতেই তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের জন্য ব্যবহূত একটি যন্ত্র, ডসিমিটার এবং কুকুরের মতো দেখতে একটি ক্যামেরা রয়েছে।
টেপকো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তদন্তের ফলাফল ‘একটি পূর্ণাঙ্গ জ্বালানি ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার পদ্ধতি’ নির্ধারণে সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হবে।
সরকারি সম্প্রচারক এনএইচকে এবং অন্যান্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে জরিপটি প্রায় এক মাস ধরে চলবে।
বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার করে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পের অধীনে তেজস্ক্রিয় পদার্থের ক্ষুদ্র নমুনা দুবার সংগ্রহ করা হয়েছে, তবে এখনও পূর্ণাঙ্গ নিষ্কাশন করা হয়নি। বিশ্লেষণের জন্য নমুনাগুলো একটি গবেষণাগারে সরবরাহ করা হয়েছে।

Discussion about this post