নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে উঠেছে, যা গত সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের ফলে ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমে গিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ডলার বা ৩০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৪৯৯ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, অর্থাৎ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাশে ব্যাংকে নিজস্ব হিসাব অনুযায়ী দেশের রিজার্ভের পরিমাণ এখন আবারও ৩০ বিলিয়ন (৩০.০২ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে।
এর আগে গত ৩ জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। ওই সময় ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
এদিকে জুলাই মাসের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সদস্যদের কাছে ২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। এত বড় অঙ্কের পরিশোধের পরও রিজার্ভে বড় ধাক্কা লাগেনি। বরং রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে এবং ১৬ জুলাই শেষে তা দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। বিপিএম-৬ অনুযায়ী হিসাব করলে সেই সময় রিজার্ভ ছিল ২৪ শমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, রপ্তানি আয় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক থাকায় রিজার্ভে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, আইএমএফের ইচগ৬ পদ্ধতিতে নিট রিজার্ভ নির্ধারণে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক দায়গুলো বা দেয়া হয়, ফলে নিট রিজার্ভ গ্রস রিজার্ভ থেকে তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এবং সরকারের নিয়ন্ত্রিত আমদানি ব্যবস্থাপনার ফলে রিজার্ভ বৃদ্ধির এ ধারা দেখা যাচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে রিজার্ভ টেকসই রাখতে রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও রেমিট্যান্স প্রবাহে স্থিতিশীলতা আনতে হবে।