নিজস্ব প্রতিবেদক : পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা কয়লা পরিবহনের বিল বকেয়া পড়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের কয়লা খালাস বন্ধ করে দিয়েছে লজিস্টিকস কোম্পানি এএমএমএস গ্রুপ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরিচালনাকারী সংস্থা বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) কাছে পরিবহন ভাড়া বাবদ এএমএমএস গ্রুপের পাওনা প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। বকেয়া না পাওয়ায় কয়লা খালাস করছে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, পিডিবি থেকে অর্থ পেলেই বকেয়া পরিশোধ করে দেয়া হবে।
এএমএমএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল আলম জুয়েল বলেন, কয়লা পরিবহনের জন্য ব্যবহƒত লাইটার জাহাজ পরিচালনা-সংক্রান্ত নিয়মিত ব্যয় কোম্পানি বহন করতে পারছে না। বিল না পাওয়ায় কয়লা খালাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য বিসিপিসিএলকে বলা হলে তারা বলেছে, বিল বাবদ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সময়মতো পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না। ফলে স্থানীয় লজিস্টিক কোম্পানির বিল পরিশোধ করতে পারছে না তারা। বিপিডিবি থেকে টাকা পেলেই বিসিপিসিএল বকেয়া পরিশোধ করবে।
বিপিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, পিডিবির কাছে বিসিপিসিএলের বিল বকেয়া আছে কি না, তা আমার জানা নেই। বিল বাবদ যদি বকেয়া থাকে, বিসিপিসিএলকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে পিডিবিকে জানাবে।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ টি তৈরি করেছে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল) চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনডব্লিউপিজিসিএল) মধ্যে ৫০: ৫০ যৌথ উদ্যোগে।
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড এবং এনইপিসি এবং সিইসিসির কনসোর্টিয়াম পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ প্রকল্প দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ ইপিসি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দে র ক্ষমতা ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ছিল ৪,৯৪২ মেগাওয়াট। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৫,৫১৪ মেগাওয়াট উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয় এবং ১৯,৬২৬ মেগাওয়াট স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়।