শেয়ার বিজ ডেস্ক : রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন। গত সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর বিধ্বস্ত হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
এই দুর্ঘটনার পর চীনের তৈরি তুলনামূলকভাবে কিছুটা সাশ্রয়ী এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী কেন পুরোনো এসব বিমান ব্যবহার করছে, তা নিয়েও কথা বলছেন অনেকে। কেন বিমানবাহিনী অত্যাধুনিক বিমান আনছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আমজনতা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল পাকিস্তান সফর করে। তারা দেশটির বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে দেখা করে পাকিস্তান ও চীনা প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান কেনার প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে বলে জানিয়েছিল পাক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
তবে বাংলাদেশ যেন এ বিমান কিনতে না পারে, সেজন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে ভারত। গতকাল ২২ জুলাই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত বাংলাদেশের এই যুদ্ধবিমানকে শুধু সাধারণ ক্রয় হিসেবে দেখে না, তারা এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা কাঠামোর জন্য ঝুঁকি হিসেবে দেখে।
পাকিস্তানের জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমানগুলো ওজনে তুলনামূলকভাবে হালকা এবং দিনরাত ও সব ঋতুতে হামলা চালাতে সক্ষম। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমানটি পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি) ও চীনের চেঙ্গদু এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে।
সামরিক পরিভাষায় জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানকে ‘মাল্টি-রোল ফাইটার জেট’ বলা হয়। অনেক উঁচু থেকে হামলা চালানো, মাটির খুব কাছাকাছি নেমে বোমাবর্ষণ করা, প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমানের সঙ্গে আকাশে লড়াই (ডগফাইট), শত্রুর আকাশসীমায় ঢুকে বিপক্ষের ঘাঁটি ও সমরসজ্জার নির্ভুল খবর নিয়ে আসা—এ ধরনের সব কাজই করতে পারে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান।