নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও সুইস কন্ট্যাক্টের ‘প্রবৃদ্ধি’ প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে গতকাল রাজধানীতে বিডার মাল্টিপারপাস হলে ‘বিনিয়োগ পরিবেশ শক্তিশালীকরণে মিউনিসিপ্যাল সক্ষমতা সূচকের (এমসিআই) ভূমিকা’ শীর্ষক এক উচ্চপর্যায়ের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় ২০২৪ সালে সাতটি পৌরসভায় পরিচালিত এমসিআই জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।
জরিপে স্থানীয় পর্যায়ের বিনিয়োগ সক্ষমতা, ব্যবসা-সহায়ক পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। বিডার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিডা, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ও সুইস কন্ট্যাক্টের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এ সূচক দেশের পৌরসভাগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নির্ধারণ করে। একইসঙ্গে এটি একটি কৌশলগত রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে, যা স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) শাহ মোহাম্মদ মাহবুব। প্রধান অতিথি ছিলেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিডার নির্বাহী সদস্য মো. মোখলেছুর রহমান ও সুইস কন্ট্যাক্টের টিম লিডার মার্কাস এহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চৌধুরী আশিক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ঢাকার বাইরের অঞ্চলে বিনিয়োগবান্ধব অবকাঠামো ও সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছি। এমসিআই সূচক সে ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই সূচক বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারগুলো বিনিয়োগের উপযোগী হয়ে উঠবে। স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে, যা অনেক সময় প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের সমন্বিতভাবে এগোতে হবে।’
কর্মশালায় বিডার মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রায় বলেন, ‘প্রথম দিকে বিডা বিভাগীয় পর্যায়ে কিছু উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় পর্যায়ে সেগুলোর বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে এলজিডি ও সুইস কন্ট্যাক্টের সহায়তায় স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়।’
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচক শুধু দুটি শহরকে নিয়ে কাজ করত। কিন্তু এমসিআই সূচকের মাধ্যমে আমরা স্থানীয় পর্যায়ের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে পারছি, যা বিনিয়োগবান্ধব সংস্কারে সহায়ক হবে।’
উš§ুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসা শুরু, কর ব্যবস্থা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থায়ন ও বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন। এসব বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হলে স্থানীয় সরকারসমূহ জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।