শেয়ার বিজ ডেস্ক : চীনের সঙ্গে বিতর্কিত হিমালয় সীমান্তের কাছে যুদ্ধবিমান পরিচালনার জন্য সক্ষম একটি নতুন বিমানঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। বুধবার ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান একটি সামরিক পরিবহন বিমানে অবতরণের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভারতীয় একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে দীর্ঘদিনের সামরিক উত্তেজনা কমাতে গত অক্টোবরে একটি ‘মাইলফলক’ চুক্তি এবং চলতি বছর নরেন্দ্র মোদির চীন সফরের পর সম্পর্কের উন্নতির মধ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, বিমানবাহিনী প্রধান এপি সিং বুধবার লাদাখের মুধ-নিওমা বিমান ঘাঁটিতে সি-১৩০জে বিমানের মাধ্যমে উদ্বোধনী অবতরণ করেন। এটি প্রায় ১৩ হাজার ফুট (৪ হাজার মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত।
ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
নতুন বিমানঘাঁটি চীনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি এই অঞ্চলে ভারতের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
ভারতের অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল সঞ্জীব কাপুর প্রতিবেশী চীন ও পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করে এক্স-পোস্টে বলেছেন, “লাদাখের এই নতুন বিমানঘাঁটি, যা যুদ্ধবিমান পরিচালনার জন্য সক্ষম- আমাদের উভয় প্রতিপক্ষের জন্যই নতুন চ্যালেঞ্জ যুক্ত করবে।” তিনি উল্লেখ করেন, চীনেরও একই উচ্চতায় একটি বিমানঘাঁটি রয়েছে।
ভারতীয় বিশ্লেষক এবং কর্মকর্তারা বলছেন, চীন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা কমলেও অবিশ্বাস রয়ে গেছে। ভারতীয় সেনাপ্রধান এ বছর উভয় পক্ষের সীমান্তে সৈন্য উপস্থিতি এবং অবকাঠামো নির্মাণ অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছেন।
ভারত ও চীনের মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি দুর্বল সীমানা রয়েছে। ১৯৫০ সাল থেকে এই সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক চলছে। ১৯৬২ সালে তারা একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু নৃশংস যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
২০২০ সালে একটি মারাত্মক সীমান্ত সংঘর্ষের পর সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশ সরাসরি ফ্লাইট এবং দ্বিমুখী ভ্রমণ পুনরায় শুরু করেছে।
এস এস/
প্রিন্ট করুন









Discussion about this post