খন্দকার আপন হোসাইন : মধ্যপ্রাচ্য একইসঙ্গে সভ্যতা সৃষ্টি ও ধ্বংসের মঞ্চ। এখানে জন্ম নিয়েছিল জ্ঞান, দর্শন ও ধর্ম; আবার এখানেই অগণিতবার ঝরেছে রক্ত, ভেঙে পড়েছে নগর, ভস্মীভূত হয়েছে সাম্রাজ্য। ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে এই ভূখণ্ড যেন এক নতুন নাট্যমঞ্চ যেখানে কখনও সম্রাট, কখনও বিপ্লবী, কখনও বিদেশি শক্তি, আবার কখনও গোষ্ঠীগত বাহিনী প্রধান চরিত্রে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রের মানচিত্র অঙ্কিত হলেও তার ভেতর জন্ম নিয়েছে আরেক মানচিত্র— অদৃশ্য অথচ প্রভাবশালী, বৈধতার আড়ালে অবৈধ। এ দ্বৈত অস্তিত্বই রূপ দিয়েছে এক অন্তহীন অস্থিরতাকে। অটোমান সাম্রাজ্যের পতন ছিল এক যুগের সমাপ্তি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সাইকস-পিকো চুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম সীমানা টেনে দেয়া হলো, গড়ে তোলা হলো নতুন রাষ্ট্র, অথচ সেই রাষ্ট্রের ভেতরে রয়ে গেল অমীমাংসিত গোত্রীয় বিভাজন ও ধর্মীয় বৈপরীত্য। উপনিবেশবাদ বিদায় নিল, কিন্তু রেখে গেল দুর্বল প্রশাসন ও অস্থির রাজনীতি। ফলে জন্ম নিল এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, যেখানে রাষ্ট্র ছিল মানচিত্রে, কিন্তু তার ভেতরে জন্ম নিল গোষ্ঠীর শক্তি, সমান্তরাল বাহিনী এবং বিদেশি আধিপত্য।
ইরানি বিপ্লব সেই অনিশ্চয়তাকে নতুন পথে প্রবাহিত করল। খোমেনির বিপ্লব সফল হওয়ার পরই বোঝা গেল, রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী বিপ্লবকে রক্ষা করতে অক্ষম। তখন গড়ে তোলা হলো রেভল্যুশনারি গার্ড, যা পরিণত হলো বিপ্লব রপ্তানির বাহন। লেবাননে হিজবুল্লাহর উত্থান, ইরাকে পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস, ইয়েমেনে হুথিদের শক্তি- সবই সেই কৌশলের প্রতিফলন। রাষ্ট্রের ভেতরে গোষ্ঠী এভাবে পরিণত হলো এক অঘোষিত রাষ্ট্রে। সংসদ, সরকার, সংবিধান— সবকিছুকে ছাপিয়ে তাদের সিদ্ধান্তই হয়ে উঠল চূড়ান্ত। জনগণ হলো বিভ্রান্ত, বিনিয়োগ সরে গেল দূরে, উন্নয়ন থেমে গেল। তবে ইতিহাসের শিক্ষা স্পষ্ট। যেখানে দুটি সেনাবাহিনী থাকে, সেখানে রাষ্ট্র থাকে না। যেখানে দুটি কর্তৃত্ব একই পতাকার নিচে অবস্থান করে, সেখানে সার্বভৌমত্ব ক্ষয়ে যায়। যেখানে আইনকে গোষ্ঠী অতিক্রম করে, সেখানে জনগণ হারায় ভবিষ্যৎ। মধ্যপ্রাচ্য এই কঠিন সত্য বহুবার রক্ত দিয়ে লিখেছে। কোটি কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে যুদ্ধের নামে, অগণিত পরিবার হারিয়েছে আপনজন, তরুণ প্রজন্ম হারিয়েছে শিক্ষা ও কর্মসংস্থান। ধ্বংসস্তূপে পড়ে আছে স্বপ্ন, ভগ্নপ্রায় শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে আশা হারানো মানুষ।
তবু মানুষের হূদয়ে এখনও এক আলোকরেখা জ্বলে। তারা চায় না অন্তহীন অস্থিরতা, তারা চায় স্থিতিশীল রাষ্ট্র। তারা চায় এমন এক ভবিষ্যৎ যেখানে রাষ্ট্রের অস্ত্র কেবল রাষ্ট্রের হাতেই থাকবে, সংসদের সিদ্ধান্ত হবে পথপ্রদর্শক, সংবিধান হবে শক্তির মূল ভিত্তি। তারা স্বপ্ন দেখে এমন এক মধ্যপ্রাচ্যের, যেখানে মিলিশিয়া নয়, সেনাবাহিনী হবে রক্ষক; বিদেশি প্ররোচনা নয়, জনগণের আকাঙ্ক্ষাই হবে নীতির দিশারি। মধ্যপ্রাচ্য আজ তাই দাঁড়িয়ে আছে দ্বিমুখী সড়কে। একদিকে যুদ্ধ, গোষ্ঠী, সমান্তরাল বাহিনী; অন্যদিকে রাষ্ট্র, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন। প্রতিটি অগ্নিকুণ্ড একদিন নিভে যায়, প্রতিটি ধ্বংস একদিন জন্ম দেয় নতুন নির্মাণকে। এই অঞ্চলের মানুষও একদিন ফিরে পাবে তাদের স্বাভাবিক রাষ্ট্র যেখানে আইন হবে শক্তির উৎস, জনগণ হবে মালিক, উন্নয়ন হবে পথচিহ্ন। সেই দিনই হবে মধ্যপ্রাচ্যের প্রকৃত বিজয়, সেই দিনই হবে রক্ত ও অশ্রুর দীর্ঘ ইতিহাসের কাঙ্ক্ষিত অবসান।
মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে যুদ্ধ, বিপ্লব, উত্থান ও পতন এক অভিন্ন বাস্তবতা। রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের ভেতর আরেকটি কর্তৃত্ব, সেনাবাহিনীর ভেতর আরেকটি বাহিনী, প্রশাসনের ভেতর আরেকটি সমান্তরাল প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলের চরিত্র গড়ে তুলেছে। এই দ্বৈততা কখনও ধর্মীয় বিশ্বাসে প্রতিষ্ঠিত, কখনও মতাদর্শে সঞ্জীবিত, কখনও বিদেশি শক্তির প্ররোচনায় দৃঢ়। এর ফল একটিই রাষ্ট্র দুর্বল হয়, জনগণ দিশাহারা হয়, উন্নয়ন থমকে দাঁড়ায়। ইরানি বিপ্লবের সময় থেকে এ বাস্তবতার ভেতর নতুন অধ্যায় সূচিত হয়। আয়াতুল্লাহ খোমেনির বিপ্লব সফল হওয়ার পর বৈরুতের একটি অ্যাপার্টমেন্টে কিছু ইরানি ও লেবানিজ কর্মী বসেছিলেন। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল কীভাবে বিপ্লবী শাসনকে অটুট রাখা যায়। ১৯৫৩ সালে মোহাম্মদ মোসাদ্দেকের সরকার পতন দেখিয়ে তারা যুক্তি দিয়েছিলেন, সেনাবাহিনীর ওপর ভরসা রাখা যায় না। সেনাবাহিনী বিপ্লবকে গ্রাস করতে পারে, সেনারা বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবে নড়বড়ে হতে পারে। তাই একটি নতুন বাহিনী দরকার। আনিস আল-নাক্কাশ সেই বৈঠকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ড গঠনের। সেই বাহিনীই আজকের আইআরজিসি। পরবর্তী সময়ে ইরান এই ধারণাকে সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে দিল। বিপ্লব রপ্তানি করা হলো গোটা অঞ্চলে। ১৯৮২ সালে ইসরায়েল লেবানন আক্রমণ করল। সেই সময়ে সিরীয় প্রেসিডেন্ট হাফেজ আল-আসাদের অনুমতিতে খোমেনি হিজবুল্লাহ গঠন করলেন। এ ছিল ইরানের সংবিধানসম্মত নীতি ‘বিপ্লব রপ্তানি’— এর প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন। দক্ষিণ লেবানন ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘর্ষের মঞ্চ থেকে পরিণত হলো ইরানি-ইসরায়েলি সংঘর্ষের মঞ্চে।
হিজবুল্লাহ ধীরে ধীরে একটি গোষ্ঠী থেকে এক ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে রূপ নিল। লেবাননের বহুবর্ণিল রাজনৈতিক কাঠামো সেখানে থমকে দাঁড়াল। রষ্ট্রেপতি নির্বাচন, সরকার গঠন, যুদ্ধ ও শান্তির সিদ্ধান্ত সবকিছুর শেষ কথা বলতে শুরু করল হিজবুল্লাহ। লেবানন রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হলো। হিজবুল্লাহ কখনও কাউকে জিজ্ঞাসা করেনি সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করার আগে। গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে সমর্থন জানাতে নতুন ফ্রন্ট খোলার সময়ও তারা কাউকে পরামর্শ দেয়নি। রাষ্ট্র নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকল, গোষ্ঠী হয়ে উঠল নিয়ন্ত্রক শক্তি। সিরিয়ায় চিত্র আরও জটিল। সরকার ভেবেছিল তাদের সেনাবাহিনী যথেষ্ট শক্তিশালী। সময় প্রমাণ করল তারা ভুল করেছিল। আসাদ সরকার বাঁচাতে এগিয়ে এলো ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া এবং রাশিয়ার বিমান বাহিনী। এভাবেই সিরিয়ায় সমান্তরাল বাহিনীর ওপর নির্ভরতা প্রতিষ্ঠিত হলো। ইরাকেও একই নাটক। আইএস বিরোধী যুদ্ধে গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলী আল-সিস্তানির ফতোয়াকে সুযোগে পরিণত করলেন জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। সেই ফতোয়ার ভিত্তিতে তৈরি হলো পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস। তারা আইএসের বিরুদ্ধে লড়ল, সাফল্যও আনল। কিন্তু ফল হলো আরেকটি সমান্তরাল বাহিনীর জন্ম। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে রাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র। সংসদ বিভ্রান্ত হলো, জনগণ ভীত হলো, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দূরে সরে গেল।
ইয়েমেন হলো এই ধারার চূড়ান্ত পরিণতি। হুথি অভ্যুত্থান ইরানের সাফল্যকে পূর্ণতা দিল। চারদিকে প্রক্সি বাহিনী তৈরি হলো। ইরান ইসরায়েলকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলল। অভ্যন্তরে নিরাপত্তা পেল, বাইরে প্রতিপক্ষকে জর্জরিত রাখল। এসব নির্মাণে ব্যয় হলো অগণিত অর্থ। গড়ে উঠল টানেল নেটওয়ার্ক, অস্ত্র পাচারের পথ, গুপ্তহত্যার কৌশল। ইরান যেন হয়ে উঠল মধ্যপ্রাচ্যের অঘোষিত সম্রাট। কিন্তু শক্তির জোয়ার দীর্ঘস্থায়ী হলো না। ইসরায়েল নানা ফ্রন্টে সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব দেখাল। হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হলেন। সিরিয়ায় আসাদ শাসনের পতন ঘটল। অক্ষ ভেঙে পড়ল। ইরানের আকাশে যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়ল। সেনাপতি, বিজ্ঞানী নিহত হলেন। আল-আকসা বন্যা অভিযান ইরানের জন্য কল্যাণ বয়ে আনল না, বরং অভিশাপে রূপ নিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ ছিল সিরিয়া, সেটি হাতছাড়া হলো। লেবাননের হিজবুল্লাহ হারাল কার্যকর প্রতিরোধের ক্ষমতা। বাগদাদ, দামেস্ক ও বৈরুত এখন নতুন গান গাইছে। তারা বলছে রাষ্ট্রের অস্ত্র কেবল রাষ্ট্রের হাতেই থাকবে। ড্রোনে আক্রমণ চালালে বিনিয়োগ আসবে না। মিলিশিয়া রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে ‘শাস্তি’ দিলে সমৃদ্ধি আসবে না। জনগণ ক্লান্ত, জনগণ স্থিতিশীলতা চায়। জনগণ দুর্নীতি দমন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ চায়। তবু তেহরান অস্বীকার করছে। ইরানি সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা আলি আকবর ভেলায়েতি বললেন, লেবানন সরকারের সিদ্ধান্ত অর্থহীন। তিনি বললেন, ইরাকে পিএমএফ সেই ভূমিকাই পালন করছে যেটি লেবাননে করেছে হিজবুল্লাহ। লেবাননের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ করল। তারা বলল, এটি নগ্ন হস্তক্ষেপ। এই প্রতিবাদ এক নতুন বাস্তবতার ইঙ্গিত।
মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ আবার স্বাভাবিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছে। তারা রাষ্ট্র চায় যেখানে সিদ্ধান্ত আসবে সংসদ থেকে, সরকার থেকে, সংবিধান থেকে। তারা রাষ্ট্র চায় যেখানে গোষ্ঠী নয়, আইন হবে শক্তির উৎস। তারা রাষ্ট্র চায় যেখানে মিলিশিয়া নয়, সেনাবাহিনী হবে রক্ষক। অস্ত্র আঁকড়ে রাখা মানে অন্ধকারকে দীর্ঘায়িত করা। গোষ্ঠীগত শক্তি মানে রাষ্ট্রকে দুর্বল করা। গোষ্ঠী মানে অগ্রযাত্রাকে অবরুদ্ধ করা। রাষ্ট্রের প্রকৃত বিপ্লব স্থিতিশীলতা। আইনসম্মত রাষ্ট্র সেই বিপ্লবকে বাস্তবে রূপ দেয়। গোষ্ঠী সেই বিপ্লবকে হত্যা করে। আজকের মধ্যপ্রাচ্য এক সংকটপথে দাঁড়িয়ে। একদিকে দীর্ঘ যুদ্ধ, বিপ্লব, গোষ্ঠী, সমান্তরাল বাহিনী। অন্যদিকে রাষ্ট্র, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি। জনগণ প্রশ্ন করছে— দুটি সেনাবাহিনী কি একটি রাষ্ট্রে স্থান পেতে পারে? দুটি কর্তৃত্ব কি একই পতাকার নিচে সহাবস্থান করতে পারে? দুটি রাষ্ট্র কি একটি মানচিত্র ভাগাভাগি করে বাঁচতে পারে? উত্তর সুস্পষ্ট। ইতিহাস প্রমাণ করেছে না। যেখানে সমান্তরাল শক্তি গড়ে ওঠে, সেখানে রাষ্ট্র নিঃশেষিত হয়। যেখানে বাহিনী রাষ্ট্রের বাইরের নির্দেশে পরিচালিত হয়, সেখানে সার্বভৌমত্ব ক্ষতবিক্ষত হয়। যেখানে সিদ্ধান্ত নেয় গোষ্ঠী, সেখানে আইন হারায় শক্তি। অতএব আজ প্রয়োজন এক নতুন প্রত্যাবর্তন। প্রয়োজন রাষ্ট্রের একচেটিয়া অস্ত্রাধিকার। প্রয়োজন সংবিধানকেন্দ্রিক প্রশাসন। প্রয়োজন বিদেশি হস্তক্ষেপমুক্ত নীতি। প্রয়োজন জনগণের হাতে জনগণের রাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ যে মূল্য দিয়েছে তা অবর্ণনীয়। রক্ত, ঘাম, অশ্রু মিশে গেছে মাটিতে। কোটি কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে যুদ্ধের নামে। প্রজন্ম হারিয়েছে শিক্ষা, হারিয়েছে কর্মসংস্থান, হারিয়েছে ভবিষ্যৎ। এখন আর হারানোর কিছু নেই। অর্জন করার সময় এসেছে।
স্বাভাবিক রাষ্ট্রই পারে উন্নয়নের পথ খোলা রাখতে। স্বাভাবিক রাষ্ট্রই পারে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। স্বাভাবিক রাষ্ট্রই পারে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে। স্বাভাবিক রাষ্ট্রই পারে নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে। মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র আজ আগুনে দগ্ধ। তবে প্রতিটি আগুন একদিন নিভে যায়। প্রতিটি ধ্বংস একদিন গড়ে ওঠে নতুন নির্মাণে। মধ্যপ্রাচ্যের জনগণও একদিন ফিরে পাবে তাদের স্বাভাবিক রাষ্ট্র। গোষ্ঠীগত যুগ শেষ হবে। আইনের শাসনের যুগ শুরু হবে। সেই দিনই হবে এই অঞ্চলের প্রকৃত বিজয়।
শিক্ষক
কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, নাটোর
khandaker.apon@gmail.com