আলী ওসমান শেফায়েত : মানবজাতির ইতিহাসে এমন অনেক ব্যক্তিত্ব এসেছেন, যারা জ্ঞান, নেতৃত্ব, দয়া কিংবা ন্যায়বিচারের জন্য অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন। কিন্তু এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি একাধারে আদর্শ পিতা, স্বামী, বন্ধু, নেতা, রাষ্ট্রপ্রধান, ধর্মপ্রচারক এবং আদর্শ মানব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তিনি হলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। শুধু তার সমসাময়িক সমাজই নয়, বরং সব মানবজাতির জন্য তিনি হয়ে উঠেছেন এক চিরন্তন, সর্বজনীন ও সর্বকালের শ্রেষ্ঠ আদর্শ। তাঁর জীবন ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি, যা বিশ্বাস ও নৈতিকতা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা ও মানবিক অধিকার পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। তাঁর এই অতুলনীয় জীবনাদর্শের কয়েকটি দিক বিশ্লেষণ করে দেখা যাক, কেন তিনি মানবতার ইতিহাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ আদর্শ ব্যক্তিত্ব।
বিশ্বাস ও ঈমানের অনুপম আদর্শ: রাসুল (সা.)-এর জীবন ছিল আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ঈমান, নির্ভরতা ও আনুগত্যে পরিপূর্ণ। তাঁর এই বিশ্বাস এতই দৃঢ় ছিল যে, কোনো জাগতিক প্রলোভন তাঁকে তাঁর মিশন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। যখন কুরাইশরা তাঁকে ক্ষমতা, সম্পদ ও সম্মান দেয়ার প্রস্তাব দিল, তিনি তখনো দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘যদি তারা আমার ডান হাতে সূর্য আর বাম হাতে চন্দ্র ধরিয়ে দেয়, তবুও আমি আল্লাহর এই কাজ (দাওয়াত) থেকে ফিরে যাব না।’ এই দৃঢ়তা প্রমাণ করে যে, তাঁর ঈমান ছিল কোনো পার্থিব লাভের ঊর্ধ্বে।
আল্লাহ নিজেই কোরআনে তাঁর সম্পর্কে বলেন, ‘বলুন, আমি তো কেবল একজন মানুষ, তোমাদের মতো। আমার প্রতি ওহী আসছে এই মর্মে যে, তোমাদের উপাস্য একমাত্র ইলাহ।’ (সুরা আহকাফ, আয়াত: ৯)। এই আয়াত থেকে স্পষ্ট হয় যে, তিনি নিজেকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই উপস্থাপন করেছেন, কিন্তু তাঁর ঈমান তাঁকে অসাধারণ উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
চরিত্র ও নৈতিকতার শ্রেষ্ঠ প্রতীক: আল্লাহ পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-এর চরিত্র সম্পর্কে বলেছেন, ‘নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী।’ (সুরা কলম, আয়াত: ৪)। এই ঘোষণা তাঁর নৈতিক গুণাবলির শ্রেষ্ঠত্বের চূড়ান্ত স্বীকৃতি। তাঁর ধৈর্য, ক্ষমাশীলতা, দয়া এবং সহনশীলতার এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যা মানব ইতিহাসে বিরল। তায়েফের গলি থেকে শুরু করে উহুদের রক্তাক্ত ময়দান পর্যন্ত তাঁর কষ্ট সহ্য করার এবং শত্রুদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শনের নজির পাওয়া যায়। উহুদের যুদ্ধে যখন তাঁর প্রিয় চাচা হামজা (রা.)-কে নির্মমভাবে শহিদ করা হলো, তখনও তিনি প্রতিশোধের পরিবর্তে ধৈর্য ধারণ করেছেন। মক্কা বিজয়ের দিনে সেসব কুরাইশ নেতাদের প্রতি তিনি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেন, যারা তাঁর ওপর দিনের পর দিন অত্যাচার করেছিল। তিনি বলেন, ‘আজ তোমাদের কোনো ভর্ৎসনা নেই, তোমরা সবাই মুক্ত।’ তাঁর এই ক্ষমাশীলতা তাঁর চরিত্রকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
পারিবারিক জীবনে অনুপম দৃষ্টান্ত: রাসুল (সা.) পারিবারিক জীবনে ছিলেন সহানুভূতি ও ভালোবাসার প্রতীক। তিনি তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে এমনভাবে আচরণ করতেন, যা তৎকালীন সমাজের জন্য ছিল এক নতুন দৃষ্টান্ত। হাদিসে এসেছে, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীর প্রতি সর্বোত্তম আচরণ করে। আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার স্ত্রীর প্রতি সবচেয়ে উত্তম।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩৮৯৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৯৭৮; সহিহ ইবনে হিব্বান: হাদিস: ৪১৭৭)। তিনি ঘরের কাজেও স্ত্রীদের সাহায্য করতেন এবং তাদের মতামতের প্রতি গুরুত্ব দিতেন। তিনি শিশুদের ভালোবাসতেন। নাতি হাসান ও হুসাইন (রা.)-কে কাঁধে নিয়ে মসজিদে যেতেন। কন্যা ফাতিমা (রা.) এলে তিনি সম্মানের সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে সালাম দিতেন। তাঁর এই পারিবারিক আচরণ আধুনিক সমাজেও স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার একটি আদর্শ মডেল।
সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: মহানবী (সা.) ছিলেন সমাজের নিপীড়িত, বঞ্চিত ও অবহেলিতদের আশ্রয়। তিনি সর্বদা গরিবদের পাশে দাঁড়াতেন, এতিমদের দেখাশোনা করতেন এবং দাসদের মুক্ত করার উদ্যোগ নিতেন। তিনি দাসদের মানুষের মতো মর্যাদা দিয়েছেন, যা সেই যুগের আরব সমাজে অকল্পনীয় ছিল। বিলাল (রা.), সোহাইব (রা.)-এর মতো দাসদের তিনি সমাজের উচ্চ আসনে বসিয়েছেন। তাঁর মানবতাবোধের ভিত্তি ছিল এই বাণী, ‘তোমরা দয়ালু হও যারা পৃথিবীতে আছে, তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনিও তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৯৪১; তিরমিজি, হাদিস: ১৯২৪)। এই শিক্ষা সমাজে দয়া ও মানবিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে।
নেতৃত্ব ও রাষ্ট্র পরিচালনার বিস্ময়কর মডেল: মদিনায় রাসুল (সা.) শুধু একজন নবী ছিলেন না, বরং তিনি একজন বিচক্ষণ রাষ্ট্রপ্রধান, বিচারক ও সর্বোচ্চ নেতা হিসেবেও ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে একটি মানবিক, সাম্যভিত্তিক রাষ্ট্র তৈরি হয়, যেখানে মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের অধিকার সংরক্ষিত ছিল। মদিনার সনদ ছিল ইতিহাসের প্রথম লিখিত সংবিধান, যা ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সব নাগরিকের অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারিত করেছিল। এই সনদের মাধ্যমে তিনি সমাজে শান্তি ও সহনশীলতার এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি যুদ্ধকালেও নারী, শিশু, গাছপালা ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে আঘাত না করার আদেশ দিয়েছেন। তাঁর এই শাসনব্যবস্থা আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল।
দাওয়াত ও মিশনারি কৌশলের আদর্শ: রাসুল (সা.) দাওয়াতের ক্ষেত্রে ছিলেন অত্যন্ত কৌশলী, ধৈর্যশীল ও প্রজ্ঞাবান। তিনি কাউকে অপমান করে নয়, বরং সহনশীলতা ও যুক্তির মাধ্যমে ইসলামের আহ্বান করতেন। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আপনি আপনার প্রতিপালকের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে দাওয়াত দিন এবং উত্তমরূপে বিতর্ক করুন।’ (সুরা নাহল, আয়াত: ১২৫)। তিনি মুয়াজ (রা.)-এর মতো সাহাবিদেরকে বিভিন্ন এলাকায় দাওয়াতের জন্য পাঠাতেন এবং সবসময় নরম কথা বলা ও ধৈর্যের নির্দেশ দিতেন। তাঁর এই পদ্ধতি বহু মানুষকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করেছে এবং কোনো প্রকার জোর-জবরদস্তি ছাড়া ইসলাম প্রসার লাভ করেছে।
শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা: রাসুল (সা.) এমন একটি জাতিকে শিক্ষা দিয়েছিলেন, যারা ছিল নিরক্ষর ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন। তিনি জ্ঞান অর্জনের প্রতি জোর দিয়ে বলেন, ‘জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২২৪; মিশকাত, হাদিস: ২১৭)। তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়ার শর্ত হিসেবে ১০ জন মুসলমানকে লেখাপড়া শেখানোর কথা বলতেন। তিনি নারীদের শিক্ষার ক্ষেত্রেও সমান গুরুত্ব দিতেন। আয়েশা (রা.) তাঁর অন্যতম বিদূষী ছাত্রী ছিলেন, যিনি পরবর্তী সময়ে হাজারও হাদিস বর্ণনা করেছেন। তাঁর এই শিক্ষার পদ্ধতি ও জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা একটি অজ্ঞ জাতিকে সভ্যতার সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে গিয়েছিল।
নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অতুলনীয় আদর্শ: ইসলাম আগমনের আগে আরব সমাজে নারীর কোনো সম্মান ছিল না। কন্যা সন্তানের জন্মকে তারা অমর্যাদাকর মনে করত এবং অনেক ক্ষেত্রে জীবন্ত কবর দিত। রাসুল (সা.) ইসলামের মাধ্যমে নারী জাতির এই অবমাননার অবসান ঘটান এবং তাদের পূর্ণ মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কন্যা সন্তানের লালন-পালনকে বেহেশতের পথ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। হাদিসে তিনি বলেন, ‘যে লোক দুটি মেয়ে সন্তানকে লালান-পালন করবে, আমি এবং সে এভাবে একসঙ্গে পাশাপাশি জান্নাতে যাব।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৩১; জামে আত-তিরমিজি, হাদিস: ১৯১৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১২৪৫২)।
তিনি নারীদের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হওয়ার অধিকার দিয়েছেন, যা পৃথিবীর অন্য কোনো ধর্মে আগে ছিল না। স্ত্রীর প্রতি উত্তম আচরণের কথা বলে তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম, আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার স্ত্রীদের কাছে সর্বোত্তম ব্যক্তি। (ইবন মাজাহ, হাদিস: ১৯৭৭; তিরমিজি, হাদিস: ৩৮৯৫)। তাঁর আদর্শে, স্ত্রীরা স্বামীর সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপের অধিকার রাখে না এবং নারী তার নিজের সম্পদ ব্যয়ের পূর্ণ স্বাধীনতা রাখে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, তারা তোমাদের জন্য এক প্রকারের পোশাক এবং তোমরাও তাদের জন্য এক প্রকারের পোশাক। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৭)। এই আয়াত থেকে নারী ও পুরুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ধারণা পাওয়া যায়।
রাষ্ট্র সংস্কারে রাসুল (সা.)-এর নীতি ও কৌশল: মহানবী (সা.) শুধু একজন ধর্মপ্রচারকই ছিলেন না, বরং একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও ছিলেন। তিনি একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের জন্য কিছু মৌলিক নীতি ও কৌশল গ্রহণ করেছিলেন, যা আজও প্রাসঙ্গিক।
নৈতিক ও আধ্যাত্মিক ভিত্তি: রাসুল (সা.) রাষ্ট্রের সব কার্যক্রমের মূল ভিত্তি হিসেবে ইসলামি মূল্যবোধ ও নৈতিকতাকে স্থাপন করেছিলেন। তাঁর মতে, ধর্ম ও নৈতিকতা একটি সমাজের আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা দেয় এবং মানুষের আচরণকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
ইনসাফ ও ন্যায়বিচার: তিনি তাঁর শাসনব্যবস্থায় ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেন। এমনকি উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিরাও তাঁর কাছে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতেন না। উহুদ যুদ্ধের সময় সাহাবিদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি ‘শূরা’ বা পরামর্শের নীতি প্রতিষ্ঠা করেন, যা আধুনিক গণতন্ত্রের একটি মূল ভিত্তি।
সামাজিক সুবিচার: সমাজের গরিব ও নিপীড়িতদের প্রতি যত্ন নেয়া ছিল তাঁর সমাজ সংস্কারের অন্যতম প্রধান দিক। জাকাতের বিধান প্রবর্তন করে তিনি একটি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেন, যা দারিদ্র্যবিমোচনে আজও কার্যকর।
সহিষ্ণুতা ও আন্তঃসম্পর্ক: মদিনার সনদের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্র্রদায়ের মধ্যে সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের একটি মডেল তৈরি করেন। এই সনদ আধুনিক বহু-সাংস্কৃতিক সমাজে আন্তঃধর্মীয় সম্পর্কের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
সর্বজনীন ও সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য আদর্শ: রাসুল (সা.) কোনো নির্দিষ্ট জাতি, ভূখণ্ড বা সময়ের জন্য ছিলেন না। কোরআন বলছে, আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছি। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)। তাঁর শিক্ষা অর্থনীতি থেকে ন্যায়বিচার, রাজনীতি থেকে নারী অধিকার পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে চিরন্তন সমাধান প্রদান করে। বিশ্ববিখ্যাত লেখক মাইকেল হার্ট তাঁর বই দ্য হান্ড্রেড— এ তাঁকে প্রথম স্থানে রেখে এই মন্তব্য করেন, He was supremely successful on both the religious and secular level. অর্থাৎ, তিনি ধর্মীয় এবং জাগতিক উভয় ক্ষেত্রেই দারুণভাবে সফল ছিলেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন শুধু ধর্মীয় অনুশাসনের নিদর্শন নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি। তাঁর জীবনাদর্শে রয়েছে বিশ্বাসের দৃঢ়তা, চরিত্রের পবিত্রতা, নেতৃত্বের ন্যায্যতা এবং মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। তিনি যে রাষ্ট্র ও সমাজ সংস্কারের ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন, তা সব যুগেই প্রাসঙ্গিক এবং অনুকরণীয়।
আজ, যখন পৃথিবী অস্থিরতা, অবিচার ও নৈতিক সংকটে জর্জরিত, তখন রাসুল (সা.)-এর জীবনাদর্শই হতে পারে আমাদের একমাত্র মুক্তির দিশারি। যারা সত্য, শান্তি, ন্যায়, দয়া ও উন্নত চরিত্রের অন্বেষণে আছেন, তাদের জন্য রাসুল (সা.)-এর জীবন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রোল মডেল। তাঁর আদর্শে ফিরে গেলেই গড়ে উঠবে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বিশ্ব।
মুক্ত লেখক
aliosmansefaet@gmail.com