সময়, বাজেট অথবা উপযুক্ত আয়োজনের অভাবে মুহূর্তগুলো মিস হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক দম্পতির জীবনেই একটি পারফেক্ট বিয়ের ফটোশ্যুটের স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। বাকি জীবন অনেকেই হয়তো এই আফসোস নিয়ে কাটায়। তাদের অপূর্ণ স্বপ্নকে পূর্ণতা দিতে গত বিয়ের মৌসুমে বার্জার লাক্সারি সিল্ক একটি ব্যতিক্রমধর্মী ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নেয়। সেই লক্ষ্যে নির্বাচিত দম্পতিদের জন্য মালদ্বীপের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পটভূমিতে একটি স্বপ্নময় বিয়ের ফটোশ্যুট আয়োজন করা হয়—যা ছিল তাদের জন্য ‘সেকেন্ড চান্স’, অর্থ্যাৎ পুনরায় সেই মধুর মুহূর্তটি ধরে রাখার লোভনীয় সুযোগ। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগটি বার্জার লাক্সারি সিল্ক ব্র্যান্ডের আভিজাত্যের পরিপূরক হয়ে ওঠে এবং গ্রাহকদের সাথেও বার্জারের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে। উক্ত ফটোশ্যুটগুলি এপিসোড আকারে আগামী ৮, ১৫ এবং ২২ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টায় দীপ্ত টিভি-তে সম্প্রচার করা হবে। এছাড়া দর্শক চাইলে দীপ্ত প্লে এবং দীপ্ত টিভি’র অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলেও দেখতে পারবেন।
ক্যাম্পেইনটির অভাবনীয় সাফল্য উদযাপনে সম্প্রতি উত্তরার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্টার সিনেপ্লেক্সে একটি জমকালো গ্র্যান্ড প্রিমিয়ারের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানিত অতিথিদের জন্য অনন্য এক সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা আয়োজন ছিল, যেখানে মালদ্বীপের স্বর্গীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ধারণ করা মনোমুগ্ধকর বিয়ের মুহূর্তগুলো ফুটে ওঠে।
বার্জার লাক্সারি সিল্ক-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বিদ্যা সিনহা মিম, খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী এবং জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়ার মতো সেরা তারকাদের নিয়ে গঠিত জুরিবোর্ডের সদস্যরা পাঁচজন সৌভাগ্যবান দম্পতিকে বাছাই করেন। শত শত আবেদনকারীর মধ্য থেকে নির্বাচিত এই দম্পতিরা তাদের হৃদয়স্পর্শী গল্প ও ছবি দিয়ে বিচারকদের মন জয় করে নেন। নির্বাচিত এই দম্পতিরা গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের বহুল প্রত্যাশিত ফটোশ্যুটের জন্য মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেন। গ্র্যান্ড প্রিমিয়ারে সেই জাদুকরী অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি বড় পর্দায় আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে, যা উপস্থিত সবার মাঝে মুগ্ধতা ছড়ায়।
প্রিমিয়ার অনুষ্ঠান শেষে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী বলেন, “বার্জার লাক্সারি সিল্ক তার গ্রাহকদের জীবনে যে অসাধারণ স্মৃতিময় মুহূর্ত তৈরিতে সবসময় নিবেদিত, আমি মনে করি ‘ওয়েডিং গ্ল্যামশ্যুট’ ক্যাম্পেইনটি সেই প্রতিশ্রুতিকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে।” তিনি আরও বলেন, “এটি কেবল রঙের গল্প নয়, বরং এতে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল। মালদ্বীপের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে ভালোবাসার মধুরতম গল্পগুলোকে বাস্তব রূপ নিতে দেখা এবং সেই মুহূর্তগুলোকে এমন একটি জাঁকজমকপূর্ণ সিনেম্যাটিক প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করতে পারা আমাদের জন্য সত্যিই আনন্দের।”
বার্জার লাক্সারি সিল্ক-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বিদ্যা সিনহা মিম তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, “’ওয়েডিং গ্ল্যামশুট’ ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত ও গর্বিত। দম্পতিদের জন্য ভালোবাসা উদযাপনের এমন ব্যতিক্রমী সুযোগ সৃষ্টি করে বার্জার লাক্সারি সিল্ক নিঃসন্দেহে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পাঁচটি দম্পতির উচ্ছ্বাস, আবেগ ও মালদ্বীপের স্বর্গীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবমিলিয়ে পুরো ব্যাপারটাই ছিল ম্যাজিক্যাল।”
“একবার ভাবুন, মালদ্বীপের স্বপ্নময় সেই ফটোশ্যুটে তোলা কোনো দম্পতির ছবি তাদের বার্জার লাক্সারি সিল্কে রাঙানো একটি দেয়ালে ঝুলছে—স্মৃতির সঙ্গে রঙের এমন মেলবন্ধন এককথায় দারুণ। এছাড়া মালদ্বীপে সবাই মিলে আমরা সুন্দর সময় কাটিয়েছি, আজকের এই সন্ধ্যায় সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।” এভাবেই তিনি তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
গ্র্যান্ড প্রিমিয়ারে উপস্থিত অতিথিরা কনটেন্টের নান্দনিক দৃশ্যে অভিভূত হন, যেখানে চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফিতে উঠে আসে সবার ভালোবাসার গল্পগুলো। তাই এই আয়োজন তথাকথিত ব্র্যান্ড প্রদর্শনীর গণ্ডি পেরিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নেয়। আর এর মাধ্যমে বার্জার লাক্সারি সিল্ক আবারও প্রমাণ করে, তারা রঙ দিয়ে শুধু দেয়াল নয়, মানুষের জীবনকেও রাঙিয়ে দিয়ে যায়।

Discussion about this post