নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকারের ১৯৭৮ সালের প্রজ্ঞাপনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সনদধারীদের জন্য ইউনিফাইড পদবী উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং সহকারী প্রকৌশলী পদে ৩৩ শতাংশ পদোন্নতির বিধান নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া, ১৯৯৪ সালের পৃথক সরকারি প্রজ্ঞাপনে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে ১০ম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। একইভাবে প্রকৌশলী পদবী ব্যবহারের বিষয়টি বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি)-২০২০ এ স্পষ্ট রয়েছে। অথচ, এসব মীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়াররা নতুনভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। আন্দোলনের নামে জনভোগান্তি সৃষ্টি ও মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করছে, যার কোনো ভিত্তি নেই।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদ, আইডিইবি জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সংগ্রাম পরিষদের জেলা শাখা নেতৃবৃন্দের যৌথ সভায় এসব কথা বলা হয়।
নেতৃবৃন্দ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে মীমাংসিত বিষয়গুলো বাতিলে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার ও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের ষড়যন্ত্রমূলক আন্দোলন কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না মর্মে হুশিয়ারি দেন।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর সরকার যখন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশকে অস্থিতিশীল ও নির্বাচন বাচনালের লক্ষ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাঙ্গনকে উত্তপ্ত করার কৌশল নিয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখার জন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ সংগ্রাম পরিষদের সাত দফা দাবিতে কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেন। সভায় আগামী ১৬ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর সকল বিভাগে অহিংস বিভাগীয় সমাবেশ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৭১টি সাংগঠনিক জেলা নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. আখেরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইডিইবি অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো, কবীর হোসেন। সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. ইমাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী মো. মমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. আনিছুজ্জামান, প্রকৌশলী মাহফুজুল আলম মিঠু, প্রকৌশলী আওয়াল হোসেন, প্রকৌশলী ফজর আলী লিটন, প্রকৌশলী আহসান হাবিব, প্রকৌশলী করিম উদ্দিন, প্রকৌশলী সেলিমুল আজাদ, প্রকৌশলী মো. সেলিম উদ্দিন, প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর, প্রকৌশলী খসরু সরকার, প্রকৌশলী মো. শাহানুর রশীদ, প্রকৌশলী মুন্সী আবু জাফর, প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।

Discussion about this post