প্রতিনিধি, মেহেরপুর : মেহেরপুরে লাইফ কেয়ার অ্যান্ড ডি ল্যাব হাসপাতালে রাশিয়া খাতুন (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রাশিয়া খাতুন আমঝুপি মীর পাড়ার কাবাদুল ইসলামের স্ত্রী। গতকাল শুক্রবার সকালে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সড়কে লাইফ কেয়ার অ্যান্ড ডি ল্যাব হাসপাতাল লিমেটেডে এ ঘটনা ঘটে। পরে মৃত রাশিয়ার স্বজনরা হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন। ঘণ্টাব্যাপী অবস্থানের পর প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের আশ্বাসে তারা স্থান ত্যাগ করেন। এ সময় জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আহসান হাবিব সোনা, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী ও রোগীর স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
রাশিয়া খাতুনের পরিবার জানায়, দুই বছর আগে রাশিয়া খাতুনের একটি হাত ভেঙে যায়। সেসময় হাতে অপারেশন করে একটি রড প্রবেশ করানো হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর হাতটি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে ডাক্তারের পরামর্শে হাতের ভেতরে থাকা রডটি অপারেশন করার জন্য ডা. মনজুর উল আলমের কাছে যায়। প্রায় ৪০ হাজার টাকা চুক্তিতে শুক্রবার সকালে অপারেশনের জন্য রাশিয়া খাতুনকে ওই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার নেয়া হয়। এ সময় অ্যানেসথেশিয়া দেয়ার পর আবার অজ্ঞান করা হলে তিনি মারা যান।
নিহতের ছেলে রাসেল বলেন, দুই বছর আগে আমার মায়ের হাত ভেঙে যায়। সে সময় অপারেশন করে হাতের ভেতরে রড দিতে হয়। সেই রডটি বের করতে এই হাসপাতালে অপারেশনের জন্য নিয়ে আসি। প্রথমে অ্যানেসথেশিয়া দেয়ার পর তাকে আবার অজ্ঞান করা হয়েছে। এ সময় আমার মায়ের জ্ঞান ফেরাতে না পেরে আমাকে ডেকে বলেন, আপনার মাকে দ্রুত কুষ্টিয়া নিতে হবে। তখন তাদের গাড়িতে করে আমার মাকে নিয়ে যেতে বলে। যেহেতু আমার গাড়ি আছে, তাই অক্সিজেন নিয়ে আমরা কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা হই। শহরের ওয়াপদা মোড় পার না হতেই বুঝতে পারি আমার মা আর নেই। পরে গাংনী হাসপাতালে ইসিজি করে জানা যায়, আমার মা এক ঘণ্টা আগেই মারা গেছে। তার অর্থ হলো এখান থেকেই আমার মাকে মৃত অবস্থায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে লাইফ কেয়ার অ্যান্ড ডি ল্যাব হাসপাতাল বন্ধ থাকায় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেয়া যায়নি।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে যেন পরিস্থিতি শান্ত থাকে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Discussion about this post