শেয়ার বিজ ডেস্ক : উচ্চকর আরোপ ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার কারণে যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত কর্মী ছাঁটাই করছে। বিশেষ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। জুলাই মাসের ফ্ল্যাশ এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল পারচেজিং ম্যানেজারস’ ইনডেক্স (পিএমআই) জরিপে এ তথ্য ওঠে এসেছে। খবর- আল জাজিরা।
জরিপে দেখা গেছে, নতুন অর্ডার কমে যাওয়ায় চাকরির বাজার সংকুচিত হচ্ছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, অতিরিক্ত পেরোল ট্যাক্স ও ভোক্তাদের দুর্বল চাহিদার কারণে বাধ্য হয়ে কর্মী সংখ্যা কমাতে হচ্ছে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের জন্য এটি একটি বড় দোটানা তৈরি করেছে। একদিকে মুদ্রাস্ফীতি এখনও ৩ দশমিক ৪ শতাংশ এ অবস্থান করছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি; অন্যদিকে বেকারত্ব মে মাসে বেড়ে চার বছরের সর্বোচ্চ চার দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে মজুরি প্রবৃদ্ধিও টানা তিন মাস ধরে কমছে।
পিএমআই জরিপে দেখা যায়, জুলাইয়ে সামগ্রিক সূচক ৫২ থেকে নেমে ৫১-এ এসেছে। ৫০ এর ওপরে মানে সামান্য প্রবৃদ্ধি হলেও এ ধারা খুবই দুর্বল। সেবাখাত ৫২ দশমিক ৮ থেকে নেমে ৫১ দশমিক ২-তে এসেছে, আর উৎপাদন খাত সামান্য বেড়ে ৫০-এ পৌঁছেছে।
আইএনজি’র অর্থনীতিবিদ জেমস স্মিথ বলেন, ‘উচ্চ পেরোল ট্যাক্স আর ন্যাশনাল লিভিং ওয়েজ বৃদ্ধির প্রভাব কর্মসংস্থানে বড় ধাক্কা দিয়েছে। তবে এসব নীতির কারণে আবার দামও বাড়ছে, বিশেষ করে খাদ্য ও আতিথেয়তা খাতে।’
এছাড়া রপ্তানি বিক্রি টানা নবম মাসের মতো কমেছে, যদিও পতনের হার কিছুটা ধীর হয়েছে। কোম্পানিগুলো বলছে, ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি ও চীনা কোম্পানির প্রতিযোগিতা বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
তবে আগামী দিনের জন্য কিছুটা আশাবাদও রয়েছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, বৈশ্বিক অস্থিরতা কমবে এবং সুদের হার হ্রাস পাবে। এতে ভোক্তারা সঞ্চয় কমিয়ে আবারও খরচ শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের প্রধান অর্থনীতিবিদ ক্রিস উইলিয়ামসন বলেন, ‘বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।
উৎপাদন প্রবৃদ্ধি এতটাই মন্থর যে, তা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মাত্র শূন্য দশমিক প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।’

Discussion about this post