শেয়ার বিজ ডেস্ক : পড়াশোনা, চাকরি বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ভাবছেন? তবে আপনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা আবেদনকারীর জন্য সাক্ষাৎকারে (ইন-পার্সন ইন্টারভিউ) উপস্থিত হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নিয়ম কেবল নতুন আবেদনকারীদের জন্য নয়, বরং যারা ভিসা নবায়ন করতে চান তাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ঘোষণায় বলা হয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় সব ভিসা ক্যাটাগরিতেই সাক্ষাৎকার বাধ্যতামূলক হবে। অর্থাৎ— শিক্ষার্থী ভিসা (F, M, J) আবেদনকারীরা পর্যটক ও ব্যবসা ভিসা (B1/B2), চাকরি সম্পর্কিত ভিসা (H, L, O-1 ইত্যাদি), এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম ও বিশেষ দক্ষতা ভিসা আবেদনকারীর জন্য সাক্ষাৎকারে (ইন-পার্সন ইন্টারভিউ) উপস্থিত হওয়া বাধ্যতামূলক।
তবে, যদি কেউ গত ১২ মাসের মধ্যে একই ক্যাটাগরির পূর্ণ মেয়াদের (full-validity) B1, B2 বা B1/B2 ভিসা পেয়ে থাকেন এবং তখন তাদের বয়স অন্তত ১৮ বছর ছিল, তাহলে হয়তো ইন্টারভিউ ছাড় পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এই ছাড় খুব সীমিত এবং কেবল কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
এদিকে গত কয়েক বছর ধরে কিছু ভিসা ক্যাটাগরিতে “ইন্টারভিউ ওয়েভার” বা সাক্ষাৎকার ছাড়াই ভিসা পাওয়ার সুযোগ ছিল। যেমন— ১৪ বছরের নিচের শিশু, ৭৯ বছরের বেশি প্রবীণ বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একই ধরনের ভিসা নবায়নকারীরা সরাসরি কাগজ জমা দিয়ে ভিসা পেতে পারতেন। কোভিডের এর সময় এ সুবিধা আরও সম্প্রসারিত করা হয়েছিল যাতে আবেদনকারীরা কনস্যুলেটে না গিয়ে সহজে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে, ভিসা প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা জোরদার, আবেদনকারীর তথ্য আরও ভালোভাবে যাচাই এবং সম্ভাব্য জালিয়াতি প্রতিরোধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে কনস্যুলার অফিসার আবেদনকারীর উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা ও যোগ্যতা আরও নির্ভুলভাবে যাচাই করতে পারবেন।
এই পরিবর্তন বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ করে তুলবে। আগে যাদের ‘ড্রপবক্স’ বা ‘ওয়েভার’ সুবিধা ছিল, এখন তাদেরও অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে কনস্যুলেটে গিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হবে। এর ফলে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অপেক্ষার সময় বেড়ে যেতে পারে, কাগজপত্র যাচাই আরও কড়াকড়ি হবে এবং ভিসা পরিকল্পনা আগে থেকেই করতে হবে।
তাই ইউএস ভিসা আবেদনের প্রস্তুতি হিসেবে আগে থেকেই সময় বুক করুন – DS-160 ফর্ম পূরণের পর দ্রুত অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিডিউল করুন। পাসপোর্ট, ছবি, ফি প্রদানের রসিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা চাকরির প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখুন। ইন্টারভিউ প্র্যাকটিস করুন। যেমন আপনার পড়াশোনা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্য, কেন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন, এবং ফিরে এসে কী করবেন— এসব প্রশ্নের উত্তর স্পষ্টভাবে দিতে প্রস্তুত থাকুন।
আরআর/

Discussion about this post