Print Date & Time : 26 August 2025 Tuesday 8:37 pm

যুক্তরাষ্ট্রে আসবাবপত্র আমদানিতে তদন্ত শুরু, শুল্ক বাড়ানোর হুমকি ট্রাম্পের

শেয়ার বিজ ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ফার্নিচার আমদানির ওপর তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন। সতর্ক করেছেন যে এরপর এ খাতে নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। খবর-এএফপি।

ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন আমরা যুক্তরাষ্ট্রে আসা ফার্নিচারের ওপর বড় ধরনের শুল্ক তদন্ত করছি। আগামী ৫০ দিনের মধ্যে এই তদন্ত শেষ হবে। তবে শুল্কের হার এখনও নির্ধারিত হয়নি।

ট্রাম্প দাবি করেন, এ উদ্যোগের লক্ষ্য ফার্নিচার শিল্পকে উত্তর ক্যারোলিনা, দক্ষিণ ক্যারোলিনা ও মিশিগানসহ মার্কিন অঙ্গরাজ্যে ফিরিয়ে আনা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই পর্যন্ত ফার্নিচার ও সংশ্লিষ্ট পণ্য উৎপাদন খাতে ৩ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ কর্মরত ছিলেন, যা ২০০০ সালের তুলনায় অর্ধেকের সমান।

চীন ও ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের ফার্নিচার আমদানির প্রধান উৎস। ‘ফার্নিচার টুডে’ নামের বাণিজ্য সাময়িকীর তথ্য অনুসারে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ফার্নিচার আমদানি করেছে।

এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের চলতি বছরের আরও কয়েকটি শুল্কনীতির ধারাবাহিকতা, যার মধ্যে ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলে কিনা তা যাচাই করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে ওষুধ, চিপ, কৌশলগত খনিজ ও বিভিন্ন পণ্য শ্রেণির আমদানির ওপর তদন্ত শুরু করেছে। সাধারণত এসব তদন্ত শেষ হতে কয়েক মাস সময় লাগে এবং এর ভিত্তিতেই নতুন শুল্ক আরোপ করা হয়।

যদিও ভিয়েতনাম ও চীনের মতো দেশগুলো ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের পৃথক দেশভিত্তিক শুল্কের আঘাত পাচ্ছে এবং সেসব শুল্কের কিছু আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তবে খাতভিত্তিক শুল্ক সাধারণত বেশি আইনি ভিত্তিসম্পন্ন বলে বিবেচিত হয়।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ট্রাম্পের নতুন শুল্ক পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক আমদানিকারক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের খরচ বাড়িয়েছে।

আপাতত ভোক্তা পর্যায়ে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতিতে এর প্রভাব সীমিত থাকলেও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে এসব প্রভাব পড়তে সময় লাগবে।