শেয়ার বিজ ডেস্ক : গত জুলাইয়ে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য জন মুলেনারের নামে ওই ভুয়া ই-মেইল পাঠানো হয়। লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠন, আইন সংস্থা ও সরকারি প্রতিষ্ঠান। ই-মেইলের সঙ্গে সংযুক্ত নথি খোলা হলে ম্যালওয়্যারটি ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি ও নেটওয়ার্কে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারত। মুলেনারের কমিটির কর্মীদের কাছে এ ধরনের ই-মেইল নিয়ে প্রশ্ন আসার পর বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে। খবর: বিবিসি।
চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার তথ্য চুরির উদ্দেশে পাঠানো এক ভুয়া ই-মেইলের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ই-মেইলটিতে ম্যালওয়্যার যুক্ত ছিল, যা চীনের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত হিসেবে সন্দেহভাজন একটি হ্যাকিং গ্রুপের কাজ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জুলাইয়ে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য জন মুলেনারের নামে ওই ভুয়া ই-মেইল পাঠানো হয়। লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠন, আইন সংস্থা ও সরকারি প্রতিষ্ঠান। ই-মেইলের সঙ্গে সংযুক্ত নথি খোলা হলে ম্যালওয়্যারটি ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি ও নেটওয়ার্কে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারত। মুলেনারের কমিটির কর্মীদের কাছে এ ধরনের ই-মেইল নিয়ে প্রশ্ন আসার পর বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে।
সাইবার বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, হামলার পেছনে চীনা গোয়েন্দাদের হয়ে কাজ করা পরিচিত হ্যাকার গ্রুপ এপিটি-৪১ জড়িত। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনার কৌশল ও হোয়াইট হাউসকে দেয়া সুপারিশ সম্পর্কে আগাম ধারণা নেয়া। মুলেনার যুক্তরাষ্ট্র-চীন কৌশলগত প্রতিযোগিতা-বিষয়ক কংগ্রেস কমিটির চেয়ারম্যান এবং চীনের সমালোচক হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাস জানিয়েছে, তারা অভিযোগ সম্পর্কে অবগত নয়। চীন সব ধরনের সাইবার হামলা ও অপরাধের বিরোধিতা করে। প্রমাণ ছাড়া কাউকে দোষারোপ করারও তারা বিরোধিতা করে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, প্রথম ম্যালওয়্যার ই-মেইল পাঠানো হয় সুইডেনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠকের ঠিক আগে। ওই বৈঠকের পর শুল্ক বিরতি নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং অংশীদারদের সঙ্গে মিলে দোষীদের শনাক্ত ও বিচারের মুখোমুখি করতে কাজ করছে। অন্যদিকে মুলেনার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি চীনা সাইবার হামলার আরেকটি উদাহরণ। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ভয় পাবে না।’

Discussion about this post