নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে পর পর কয়েক দফায় ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ৩০০টি ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম। গতকাল সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান। রাজউক এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে জানানো হয় পরিকল্পিত নগর বাস্তবায়নে রাজউকের ক্ষমতা বাড়াতে দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে সরকার।
সেমিনারে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘শুক্রবারের ভূমিকম্পে ৩০০টির মতো ছোট-বড় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে পেরেছি। নিয়মবহির্ভূত এবং নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণে রাজউক ও ভবন মালিক উভয়েরই দায় আছে। তবে মূল দায়ী ভবন মালিক। তাদের যথাযথ নিয়ম মেনেই ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়। রাজউকে অর্থের বিনিময়ে কোনো কাজ হয় না।
রাজউক কাউকে প্ল্যান করে দেয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাড়িওয়ালারাই ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্ট দিয়ে বাড়ির প্ল্যান করে রাজউকে জমা দেয় এই শর্তে যে, রাজউকের নিয়ম মোতাবেক করবেন। পরে তারা সেটা না মানলে জরিমানা কিংবা শাস্তি দিতে হলে সেই বাড়িওয়ালাদেরই দেয়া উচিত। এর দায়ভার রাজউকের না।’
সমন্বিতভাবে কাজ না করা গেলে ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব না বলে মনে করেন রাজউক চেয়ারম্যান। এজন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় ছয় মাস থেকে এক বছরের সমন্বিত পরিকল্পনা করে বাস্তবায়নের দিকে এগোনোর ব্যাপারে মতো দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরূপণে সরকারি দপ্তরগুলোর পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন ফার্মকে সার্ভের দায়িত্ব দিতে হবে। ভূমিকম্প ঝুঁকি এড়াতে ছয় মাস থেকে এক বছরের সমন্বিত পরিকল্পনা করে বাস্তবায়নে আগাতে হবে। প্রকৃতি বারবার ছাড় দেবে না।’
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানিয়েছেন, পরিকল্পিত নগর বাস্তবায়নে রাজউকের ক্ষমতা বাড়াতে দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে সরকার। তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরিকল্পিত নগরায়ণের বিকল্প নেই। আর এক্ষেত্রে ‘রাজউকের ক্ষমতা বাড়াতে দ্রুতই পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
প্রিন্ট করুন






Discussion about this post