Print Date & Time : 14 September 2025 Sunday 2:31 am

‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করা যেতে পারে: ট্রাইব্যুনাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : জুলাই গণহত্যায় জড়িত থাকার অপরাধ স্বীকার করে মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ায় শর্তসাপেক্ষে সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শর্ত অনুযায়ী তাকে নিজের ও তার সঙ্গীদের অপরাধের বিষয় ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরতে হবে।

বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে এ আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ট্রাইব্যুনাল মনে করে, এ অবস্থায় অভিযুক্ত চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করা যেতে পারে এবং সে অনুযায়ী তাকে ক্ষমা করা হলো এই শর্তেÑতিনি জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিস্তারিত ও সত্য বিষয় তুলে ধরবেন এবং যেসব অভিযোগ এসেছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছেÑসবার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেবেন, যতটুকু তিনি জানেন।

এসব শর্ত এবং ট্রাইব্যুনাল যখন চাইবে তখন হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদানের শর্ত মেনে তিনি (চৌধুরী মামুন) এই ক্ষমা গ্রহণ করেছেন।

আদেশ অনুলিপিতে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন, এখন তার নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে কারাগারে অন্যান্য বন্দির কাছ থেকে আলাদা রাখা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হলো। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারকে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।

গত ১০ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ওইদিন তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে আমাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা সংঘটনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য। এ ঘটনায় আমি নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করছি। আমি রাজসাক্ষী হয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার বিস্তারিত আদালতে তুলে ধরতে চাই। রহস্য উšে§াচনে আদালতকে সহায়তা করতে চাই।’