নিজস্ব প্রতিবেদক : বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং মালামাল বিক্রয়ে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, এনফোর্সমেন্ট ইউনিট অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ২৭ জুন যন্ত্রপাতি লুটপাট, বাংলাদেশি ও ভারতীয় কর্মচারীদের মধ্যে বেতনবৈষম্যসহ
কয়েকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। বাগেরহাট জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, দুদেশের নাগরিকদের বেতন বৈষম্য, কর মওকুফে অনিয়ম, কয়লা ক্রয়ে নয়ছয়সহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অনিয়ম-সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
এর আগে গত ২৬ জুন বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সেই সময় দুদক জানিয়েছিল, গণমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনে ও বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত কিছু কর্মকর্তার বেতন-ভাতা সংক্রান্ত অসংগতি ও আর্থিক অনিয়ম। দুদক জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সাইদুর রহমান সেই সময় বলেন, আমরা বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে বেশ কিছু অসংগতির তথ্য মিলেছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ বিনিয়োগে ২০১০ সালে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১৩ সালে বিআইএফপিসিএল ও বিপিডিবির মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি সই হয়। ওই বছরই কেন্দ্রটির জন্য জমি অধিগ্রহণ, জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে।