শেয়ার বিজ ডেস্ক : রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪, যা ভূমিধ্বস ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এর পরপরই অঞ্চলজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মূলত পরপর তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর এই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। গত রোববার আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের উপকূলে পরপর তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, এর মধ্যে একটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪।
ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, কামচাটকার পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কি শহরের উপকূলবর্তী একই এলাকায় মাত্র ৩২ মিনিটের ব্যবধানে তিনটি বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
এর মধ্যে দুটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭ এবং একটি ছিল ৭ দশমিক ৪। এরও আগে, ওই একই এলাকায় আরও একটি ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে।
জার্মান ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা জিএফজেড-ও নিশ্চিত করেছে, অন্তত একটি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প রোববার কামচাটকার পূর্বাঞ্চলে রেকর্ড করা হয়েছে। মূলত পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কি শহরটি কামচাটকা অঞ্চলের একটি প্রধান বন্দর ও প্রশাসনিক কেন্দ্র।
এদিকে ৭ মাত্রার বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রের নিচে প্লেট সরণ হলে সাধারণত সুনামি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এখন পর্যন্ত কোনো বড় সুনামির খবর পাওয়া না গেলেও, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর লোকজনকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রাশিয়ার প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ স্থানীয় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং জরুরি প্রয়োজনে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থিত অঞ্চলগুলোতে ভূমিকম্পের প্রবণতা বেড়ে গেছে। এর আগে আলাস্কা ও জাপানেও একাধিক শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল উপকূলীয় এলাকা। গবেষকরা এসব ভূকম্পনের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক খুঁজে দেখছেন।

Discussion about this post