শেয়ার বিজ ডেস্ক : জুলাইয়ে রাশিয়ার সমুদ্রপথে রপ্তানি হওয়া জ্বালানি তেল ও ভ্যাকুয়াম গ্যাস অয়েলের (ভিজিও) প্রধান গন্তব্য ছিল সৌদি আরব ও ভারত। ট্রেডার ও এলএসইজির তথ্য থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাশিয়ার তেলজাত পণ্যের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি তেল এবং ভিজিও সরবরাহের প্রধান গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। খবর: বিবিসি।
জুলাইয়ে রাশিয়ার বন্দরগুলো থেকে সৌদি আরবে সরাসরি পাঠানো জ্বালানি তেল ও ভ্যাকুয়াম গ্যাস অয়েলের (ভিজিও) পরিমাণ ছিল প্রায় ১১ লাখ মেট্রিক টন, যা জুনের তুলনায় তেমন পরিবর্তন হয়নি বলে শিপিং ডেটায় দেখা গেছে। রাশিয়া থেকে পাঠানো বেশিরভাগ কার্গো বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত ছিল। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় সাধারণত জুন থেকে আগস্টের মধ্যে জ্বালানি চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় (এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের কারণে) বিদ্যুৎ উৎপাদনে অপরিশোধিত তেল ও উচ্চ সালফারযুক্ত ফুয়েল অয়েল (এইচএসএফও) ব্যবহার করে।
এলএসইজির তথ্যানুযায়ী, গত জুলাইয়ে ভারতে রাশিয়ার ডার্ক অয়েল পণ্য সরবরাহ জুনের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে প্রায় ছয় লাখ টনে পৌঁছেছে। ভারত রাশিয়া থেকে স্ট্রেইট-রান জ্বালানি তেল ও ভিজিও আমদানি করে, যা তাদের রিফাইনারিতে ইউরালস ক্রুড অয়েলের সস্তা বিকল্প হিসেবে ব্যবহূত হয়। তবে রাশিয়া ভারতের সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী দেশ হয়েও জুলাই মাসে ভারতের রাশিয়া থেকে মোট তেল আমদানি জুনের তুলনায় এক-চতুর্থাংশ কমে গেছে। কারণ কিছু রিফাইনারি কম ছাড় পাওয়ায় আমদানির গতি কমিয়েছে।
এলএসইজির তথ্যমতে, গত মাসে রাশিয়ার জ্বালানি তেল ও ভিজিও রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্যের তালিকায় সৌদি আরব ও ভারতের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, তুরস্ক ও সেনেগালও ছিল। উল্লিখিত সব শিপিং তথ্য কার্গো যাত্রা শুরুর তারিখের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।

Discussion about this post