প্রতিনিধি, লালপুর (নাটোর) : নাটোরের লালপুর অংশের পদ্মা নদীতে অবৈধ চায়না দোয়ারি জালের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অগভীর ও গভীর পানিতে এসব নিষিদ্ধ জাল বসিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে করে নৌচলাচল যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি ধ্বংসের মুখে পড়েছে নদীর জীববৈচিত্র্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর লক্ষ্মীপুর ঘাট থেকে বিলমাড়িয়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ কিলোমিটার এলাকায় নদীতে পানি প্রবেশ করছে। এসব এলাকায় অল্প পানিতে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা প্রকাশ্যেই এসব জাল পেতে মাছ শিকার চলছে। নদীর চেহারা এখন যেন অবৈধ জালে ঢেকে গেছে।
পদ্মা নদী-সংলগ্ন এলাকার আইচান নামে এক জেলে বলেন, নদীতে এখন মাছ পাওয়া তো দূরের কথা, শুধু জাল আর জাল। মাঝেমধ্যে জালের ফাঁদে পা আটকে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। অনেক সময় নদীতে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়, কারণ চায়না দোয়ারির শক্ত ফাঁদে জড়িয়ে পড়ে নৌকার প্রপেলর।
এদিকে নদীর প্রাণবৈচিত্র্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মীরা। পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েসের লালপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সজিবুল ইসলাম বলেন, নদীর প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস করে দিচ্ছে এই চায়না দোয়ারি জাল। নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে ছোট মাছ, পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ। এতে ভবিষ্যতে নদীতে ভয়াবহ মাছের সংকট দেখা দিতে পারে। আমরা অবিলম্বে এসব অবৈধ জাল উচ্ছেদে কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মাহমুদুল হাসান বলেন, চায়না দোয়ারি একটি অবৈধ ও পরিবেশবিরোধী জাল। আমরা এরই মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করছি। খুব শিগগিরই সমন্বিতভাবে বড় পরিসরে অভিযান চালানো হবে।

Discussion about this post