নিজস্ব প্রতিবেদক : লেনদেন খরা কাটছে না দেশের পুঁজিবাজারে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে গতকাল আগের কার্যদিবসের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা কমেছে। এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দরও বেড়েছে।
ডিএসইর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৯ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। তবে ডিএসইতে গতকাল লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ডিএসইর তথ্যমতে, গতকাল লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানি এবং ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। ডিএসইতে গতকাল মোট ৩৯৪টি কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৪১টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ৮১টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে ৭২টি ফান্ড ও কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
এদিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ২১৬টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩২টি কোম্পানি ও ফান্ডের দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ৪৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ৩৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর।
একইভাবে ‘বি’ ক্যাটেগরির ৭৯টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দর দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে ১৫টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
জেড ক্যাটেগরির ৯৯টি কোম্পানি ও ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ১৯টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ২৮টি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
একইসঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে বেশির ভাগ ফান্ডের ইউনিটের দর বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৩৫টি ফান্ডের মধ্যে মাত্র ১১টি ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে, বিপরীতে সাতটি ফান্ডের ইউনিট দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ১৭টি ফান্ডের ইউনিট দর।
ডিএসইতে গতকাল মোট ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৬টি শেয়ার ও ইউনিট এক লাখ ৬০ হাজার ৩৫৭ বার হাতবদল হয়েছে। এরই জের ধরে দিনশেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৪৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫০৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ১০ লাখ টাকার। ১৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑসামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, সোনালী পেপার, লাভেলো আইসক্রিম ও রবি।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৯ কোম্পানির মধ্যে ১০৫টির দর বেড়েছে। বিপরীতে দর কমেছে ৬৪টির এবং ৩০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সূচকের উত্থান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করবে। সামনে বাজারের এই ইতিবাচক ধারা বজায় থাকে কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সবার।
প্রিন্ট করুন



Discussion about this post