প্রতিনিধি খুলনা : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে পাঁচ শিক্ষার্থীকে । এছাড়া ৩২ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. বিএম ইকরামুল হক বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থীকে একাডেমিক বহিষ্কার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে এক বছর এবং চারজনকে ছয় মাস করে একাডেমিক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে কোনো বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত থাকলে শাস্তির দেওয়া হবে মর্মে ৩২ জনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
কুয়েট সূত্রে জানা গেছে, এমএসসির শিক্ষার্থী সালিম সাদমানকে এক বছরের জন্য একাডেমিক বহিষ্কার, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২৩ ব্যাচের ওমর বিন হোসাইন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২১ ব্যাচের শান্ত ইসলাম, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মো. হৃদয় ও ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২২ ব্যাচের সাফওয়ান আহমেদ ইফাজকে ৬ মাসের জন্য একাডেমিক বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার রাতে হামলাকারীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৎকালীন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এম এ এ হাশেমকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৪ এপ্রিল প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। এরপর ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্যকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নানা ঘটনায় সাড়ে ৫ মাস বন্ধ ছিল কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম। নতুন উপাচার্য নিয়োগের পর গত ২৯ জুলাই থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ৫ জনকে একাডেমিক বহিষ্কার এবং ৩২ জনকে সতর্ক করা হয়।
এস এস