ছামিউল ইসলাম আরিফ, হিলি (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি হলেও শুল্ক জটিলতায় তা খালাস করতে পারছেন না আমদানিকারকরা। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা; এছাড়া আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানান তারা। আমদানি শুরুর তিন দিন অতিবাহিত হলেও বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় পড়ে আছে প্রায় ২ হাজার ৭১৯ মেট্রিক টন চাল। এছাড়াও আমদানির অপেক্ষায় চাল বোঝাই ভারতীয় ২০০ থেকে ২৫০টি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে পাইপ লাইনে।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত থেকে চাল আমদানির অুনমতি দেয়ায় আমরা ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু করেছি, কিন্তু শুল্ক জটিলতায় তা ছাড়করণ করতে পারছি না। সার্ভারে ৬৬ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ রয়েছে তা যদি এনবিআর গত বছরের মতো ৬২ দশমিক ২ শতাংশ করে তাহলে আমরা চালগুলো ছাড়করণ করতে পারব। এদিকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হলেও তা এখনও ছাড়করণ করেননি কেউ, যদি কেউ ছাড়করণ করতে চায় তাহলে ৬২ দশমিক ২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে ছাড়করণ করতে পারবেন।
দেশের বাজারে চালের দাম ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সেইসঙ্গে সারাদেশের ২৪২ জন আমদানিকারককে ৫ লাখ টন চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ দেয় সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার থেকে প্রায় চার মাস বন্ধের পর চাল আমদানি শুরু হয়। বর্তমানে হিলি স্থলবন্দরে তিনদিনে চাল আমদানি হয়েছে ভারতীয় ৬১ ট্রাকে ২ হাজার ৭১৯ মেট্রিক ট্রন। তবে আমদানি শুরু হলেও আমদানি করা সেই চালগুলো খালাস করতে পারছেন না। খালাসের অপেক্ষায় পড়ে আছে প্রায় ২ হাজার ৭১৯ মেট্রিকটন চাল। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা যায়।
এদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, সরকার আমদানির অনুমতি দেয়ায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হলেও তা খালাস করতে পারছেন না। কেননা এনবিআর সার্ভারে এখনও শুল্ক কমানো হয়নি, সার্ভারে ৬৬ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ রয়েছে তা যদি এনবিআর গত বছরের মতো ২ শতাংশ না করে তাহলে আমরা চালগুলো ছাড়করণ করতে পারব। তাদের দাবি, যদি এনবিআর ৬৬ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ করে শুল্ক দেয় তাহলে তারা আমদানি বা ছাড়করণ করতে পারবেন।
এদিকে হিলি শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হলেও তা এখনও ছাড়করণ করেননি কেউ, যদি কেউ ছাড়করণ করতে চায় তাহলে ৬২ দশমিক ২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে ছাড়করণ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে চাল আমদানি শুরু হয়ে বন্ধ হয়ে যায় ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিলে। আবার ১২ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে মেসার্স মিঠুন কুমার শাহ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় তিনটি ট্রাকে ১২৬ টন চাল আমদানি করে।

Discussion about this post