নিজস্ব প্রতিবেদক : শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ১১ সেপ্টেম্বর। এই উপলক্ষে গোটা ক্যাম্পাস আলোক সজ্জিত করা হয়েছে। গ্রহণ করা হয়েছে নানা কর্মসূচি। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার পতনের পর ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফের সার্বিক প্রচেষ্টায় শিক্ষা-গবেষণা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এই বিশ্ববিদ্যালয় আজ দেশ ও জাতির অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়েছে।
বর্তমান ভিসির সার্বিক প্রচেষ্টায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি ও কৃষিভিত্তিক জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। গত এক বছরের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রকৃত ইতিহাস শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন। যথাযথ মর্যাদায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি। ভঙ্গুর প্রশাসনকে পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সদিচ্ছা ও সহায়তায় সব হলে বিজয় ২৪ ফিস্ট আয়োজন (কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ব্যতীত)। ৭৯ ব্যাচের ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ করে বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করার সুযোগ সৃষ্টি।
শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে টিএসসি সহজলভ্য করা ও ক্লাসরুমে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা চালু করা। এবং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী মিড পরীক্ষা প্রবর্তন ও ফাইনাল পরীক্ষায় কুইজ বাতিল কাংর পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষায় কোটার সংস্কার, যার ফলে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
এছাড়া, নতুন ফেলোশিপ চালু, যার একটি অংশের মূল্যমান ১৮ লাখ টাকা—যা শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় উজ্জীবিত করবে। দীর্ঘদিন পর বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ ও নবান্ন উৎসব উদযাপন করা।
ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ যোগদানের পর থেকে ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করেছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এখন খুব ভালো বলে মতামত শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবসির।

Discussion about this post