নিজস্ব প্রতিবেদক : সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে ভ্যাট ছাড় দিয়েছে সরকার। তবে এ সুবিধা নিতে হলে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পাঁচ হাজার ডিডব্লিউটি বা তার বেশি ধারণক্ষমতার সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে ভ্যাট মওকুফ থাকবে। তবে আমদানিকারকদের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমোদন নিয়ে শর্ত পূরণ করতে হবে।
মূল শর্তগুলো হলো- আমদানিকৃত জাহাজকে বাংলাদেশের পতাকাবাহী হিসেবে নিবন্ধন করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক কনভেনশনগুলো মানতে হবে। জাহাজের বয়স ২৫ বছরের বেশি হতে পারবে না। আমদানির পর অন্তত তিন বছর ওই জাহাজ বাংলাদেশের পতাকায় চলতে হবে। এর আগে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। বিশেষ পরিস্থিতিতে (মন্দা, দুর্ঘটনা, দৈব-দুর্বিপাক) এনবিআরের অনুমোদন ও ভ্যাট-শুল্ক পরিশোধ করে বিক্রি করা যাবে।
জাহাজের সব আয়-ব্যয় দেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংকের ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে এবং বছরে একবার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রমাণপত্র ভ্যাট কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। তেলবাহী ট্যাংকার আমদানির ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য ‘ডাবল হাল’ বা ‘ডাবল বটম’ বিশিষ্ট জাহাজ আনতে হবে। জাহাজে কর্মরত জনবলের অন্তত ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে। এ ছাড়া আবেদন করার সময় জাহাজের ধারণক্ষমতা, তৈরির দেশ ও সাল উল্লেখ করে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে। এনবিআর যেকোনো সময় শর্ত মানা হচ্ছে কি না, তা যাচাই করতে পারবে। শর্ত ভঙ্গের প্রমাণ মিললে আমদানির সময় প্রযোজ্য পুরো ভ্যাট আদায় করা হবে।
এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং আগামী ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। একই সঙ্গে ২০১৯ সালের ১৩ জুন জারি করা আগের সাধারণ আদেশটি বাতিল করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান প্রজ্ঞাপনটি জারি করেন।

Print Date & Time : 20 September 2025 Saturday 6:41 am
সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে শর্ত সাপেক্ষে ভ্যাট ছাড়
অর্থ ও বাণিজ্য,পত্রিকা,শেষ পাতা ♦ প্রকাশ: