নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আলমগীর কবির। টানা দুই দশক ব্যাংকটির চেয়ারম্যান থাকা এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
গত ২০ জুলাই আলমগীর কবির সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি ‘ব্যক্তিগত ও শারীরিক অসুস্থতার’ কারণকে উল্লেখ করেছেন। সাউথইস্ট ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলমগীর কবির ২০০৪ সাল থেকে সাউথইস্ট ব্যাংকের পর্ষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ঋণ জালিয়াতি, শেয়ার কারসাজি, ব্যাংকের কেনাকাটায় অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য ও বোর্ডে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাংকটির ওপর পরিবারের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা নিয়ে তীব্র সমালোচনা ছিল।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে তিনি চেয়ারম্যান প ছাড়েন। রয়ে যান পরিচালক হিসেবে। অবশেষে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর গত রোববার পদত্যাগ করেন তিনি।
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সাউথইস্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তা চেয়ারম্যান ছিলেন এমএ কাশেম। ২০২২ সালে রাজনৈতিক কারণে তাকে ও অন্য দুই পরিচালককে ব্যাংকের পর্ষ এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড থেকে সরিয়ে য়ো হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তারা সবাই পর্ষে ফিরে আসেন এবং এম এ কাশেম আবার চেয়ারম্যান হন। তিনি এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।
উল্লেখ্য, আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।
গত ১৪ জুলাই দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় আলমগীর কবিরের বিশে গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক আজিজুল হক তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এই ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা অত্মসাতের একটি অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন।

Discussion about this post