প্রতিনিধি, ইবি : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ করে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গত ১৭ জুলাই বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর পাড় থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগেও তার ফোন রিসিভ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠরা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবিতে তার মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়, যা শির্ক্ষাীরে মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন।
মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু তদন্ত দাবিতে গতকাল শনিবার ইসলামী বিশ্বব্যিালয় ক্যাম্পাসে সকালে সাড়ে ১০টায় প্রধান ফটকের সামনে ইবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন করেন।
এরপর সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সাজিদের গায়েবানা জানাজা। জানাজা শেষে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং দ্রুত প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের আহ্বান জানান। একইদিন দুপুরে প্রশাসন ভবনের সামনে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মানববন্ধন করেন। সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরে পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন এবং একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এর আগে, ১৮ জুলাই রাতে বিশ্বব্যিালয়ের তিনটি ছাত্রী হল- খালেদা জিয়া হল, উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হল এবং জুলাই ৩৬ হলের আবাসিক ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেন। রাত ৯টার দিকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকেও টর্চলাইট মিছিল বের করা হয়। প্রসঙ্গত, সাজিদ আবদুল্লাহ সাঁতারে পারদর্শী ছিলেন।
মাদ্রাসা জীবনে তিনি সাঁতারে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার পরিচিতরা। প্রায়ই বিকালে সহপাঠীদের সঙ্গে পুকুরে সাঁতার কাটতেন তিনি। মৃত্যুর দিন দুপুরে তার সহপাঠীদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তা বলেন এবং বিদায় জানান। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সাজিদ। বিকালে তার মৃতদেহ ভেসে ওঠে পুকুরে।